গোয়ালন্দে কেমিক্যাল রং ও চিনি মিশ্রণে তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়


শরিফুল ইসলাম বাচ্চু, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:০৬ এপ্রিল-২০২১,মঙ্গলবার।
পবিত্র মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মগবুলের দোকান চর ধোপাখালী এলাকায় চিনি, আটা, ক্ষতিকর রং ও কেমিক্যাল মিশিয়ে আঁখের গুড় তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল নকল গুড় উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে খাঁটি গুড়ের লেবেল লাগিয়ে।
গুড় তৈরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত স্থানীয় চর ধোপাখালী গ্রামের গোলাম আলী শেখের ছেলে আফজাল শেখ। শনিবার দুপুরে সরেজমিন আফজালের বাড়িতে গিয়ে ভেজাল গুড় তৈরির এমন চিত্র দেখা যায়।
খোজ নিয়ে জানা যায়, ওই গুর তৈরী করতে কাপড় তৈরীর রং, প্রিন্টিং রং, কাঠ বার্নিশে ব্যবহৃত রং ও সাথে এক ধরনের কেমিক্যাল, আটা, হাইড্রোজ ও চিনি ব্যবহার করা হয় । বিষাক্ত রংয়ের সাথে চিনি মিশিয়ে চুলোয় দীর্ঘসময় জাল দিয়ে ঐ গুড় তৈরী করা হয়। যা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এরপর ওই ভেজাল আঁখের গুড়কে আসল গুড় হিসেবে অধিক মূল্যে বাজারে বিক্রি করেন। এতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হওয়াসহ চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, আফজাল শেখ গোয়ালন্দ বাজার, খানখানাপুর বাজার, বসন্তপুর বাজার, আরিফ বাজার, আনন্দ বাজারসহ এ অঞ্চলের প্রধান গুড় সরবরাহকারী। তিনি প্রতিনিয়ত শতশত কেজি ভেজাল গুড় উৎপাদন করে চলেছেন। ভেজাল গুড় তৈরির অপরাধে ইতিপূর্বে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও দিয়েছেন। এরপর কিছুদিন বন্ধ রাখলেও রোজাকে সামনে রেখে আবারো শুরু করেছেন পুরোদমে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সূর্য কুমার প্রামাণিক বলেন, ভেজাল খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্যের সঙ্গে ক্যামিক্যালের মিশ্রণ করা গুরুতর অপরাধ। ইতিপূর্বে এ অপরাধে আফজালকে জরিমানা করা হয়। রোজার আগে আমরা আবারো ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করবো। অপরাধী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।