কালের কাগজ ডেস্ক:: ১৮ ফেব্রুয়ারি,সোমবার।
বাংলাদেশের শিশু, কিশোর ও তরুণরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই পরিচিত হচ্ছে অশ্লীল ও নোংরা ছবির সাথে। ১৬ থেকে ১৯ বছরের বেশির ভাগই ইন্টারনেটে অশ্লীল ও নোংরা ছবিতে আসক্ত। তথ্য প্রযুক্তি আমাদের জন্য আশীর্বাদ কথাটি সত্য। কিন্তু এই প্রযুক্তি অপব্যবহারের ফলে অভিশাপ হতে যাচ্ছে। সেই অভিশাপের অশুভ ছায়া গ্রাস করেছে কোমলমতি শিশু-কিশোর থেকে তরুণ পর্যন্ত।
অশ্লীল ছবির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি প্রেমের সম্পর্ক থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখে। শুধু তা-ই নয়, এই আসক্তি এতটাই ভয়ংকর যে অশ্লীল ছবিতে আসক্তির কারণে পুরুষদের জননতন্ত্রের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে নপুংসক হয়ে যেতে পারেন। আমেরিকান ইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের এক গবেষণায় এ ফল পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা দাবি করেছেন।
গবেষকেরা ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী তিন শতাধিক পুরুষ যারা সান দিয়েগো ইউরোলজি ক্লিনিকে জননতন্ত্রের চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের ওপর এই গবেষণাটি করেছেন।
জরিপ চালানো তিন শতাধিক পুরুষের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ অশ্লীল ছবি দেখে নিয়মিত স্বমেহন করার পর শারীরিক সম্পর্ক করেন। প্রতি চারজনে একজন বলেছেন, তারা সপ্তাহে অন্তত একবার অশ্লীল ছবি দেখেন। আর ২১ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ বলেছেন, তারা সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচবার দেখেন। সপ্তাহে ছয় থেকে ১০ বার দেখেন পাঁচ শতাংশ পুরুষ এবং ৪ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ সপ্তাহে ১১ বারের বেশি অশ্লীল ছবি দেখেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, অশ্লীল ছবিতে আসক্ত পুরুষেরা অশ্লীল ও নোংরা ছবি দেখে যতটা উপভোগ করেন, বাস্তবে শারীরিক সঙ্গমের সময় তারা ততটা উপভোগ করতে পারেন না।
নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পুরুষ প্রজনন স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ও ইউরোলজির অধ্যাপক জোসেফ অ্যালুকাল বলেন, যদি কেউ অশ্লীল ছবিতে মাত্রাতিরিক্ত সময় ব্যয় করেন এবং নিয়মিত স্বমেহন করেন তাহলে বাস্তব জীবনে তিনি শারীরিক সঙ্গমে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
জোসেফ অ্যালুকাল বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, এতে পুরুষদের জননতন্ত্রের কার্যক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে, যৌনতা শুধু শারীরিক ব্যাপার নয়, এটা মানসিক ব্যাপারও বটে।
সান দিয়েগোর নাভাল মেডিকেল সেন্টারের ইউরোলজিস্ট ম্যাথিউ ক্রিস্টমান বলেন, অশ্লীল ছবির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তিতে পুরুষদের প্রজননতন্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সমূহ ঝুঁকি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষ শারীরিক সঙ্গমের সময় যতটা উত্তেজিত থাকেন, অশ্লীল ছবি দেখার সময় তার চেয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আর একারণেই তা সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় প্রজননতন্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।