কালের কাগজ ডেস্ক: ৩০ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার।
ঢাকার দুই সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (ডিএনসিসি) বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, আবদুস শহীদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের (একাংশ) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী।
তাবিথ আউয়াল বলেন, নির্বাচনের দিন ঘিরে শঙ্কা রয়েছে। পোলিং এজেন্টরা কেন্দ্রে থাকতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নই। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটের নামে কী হয় তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
বিএনপি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছে জানিয়ে এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার ওপর নির্ভর করে নির্বাচন কেমন হবে।
তিনি বলেন, দেশ সংকটে আছে। আমরা সবাই বিভক্ত হয়ে গেছি। জনগণের সমস্যা সমাধানে এ মুহূর্তে ঐক্য প্রয়োজন।
এ সময় তিনি বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানান এবং সমবেদনা প্রকাশ করেন।
এ সময় জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাতীয় প্রেসক্লাব ঐক্যের, গণতন্ত্রের, মুক্তিযুদ্ধের, বাংলাদেশের এবং দেশের লাল সবুজ পতাকার প্রতীক। কাজেই যখনি কোনো সংকট বা সমস্যার সৃষ্টি হয় তখনি সব মানুষের ভরসাস্থল যেন জাতীয় প্রেস ক্লাব। সেটা সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রেই। আমরা মানুষের সেই বিশ্বাস এবং আস্থার জায়গাটা ধরে রাখতে চাই। আমরা সেই ধারাবাহিকতায় অগ্রসর হতে চাই। এরই অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি।
তিনি বলেন, আমরা অবাধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি যারা রাজনৈতিক নেতৃত্বে আছেন তাদের যেমন সহনশীল ও গঠনমূলক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ এবং সিদ্ধান্ত দরকার সাংবাদিকরাও সে অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
সাইফুল আলম বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি সিটি নির্বাচন। একটা শংকা ছিলো নির্বাচন হবে কি হবে না। সেটা কেটে গেছে। একটা শংকা ছিল সবদল অংশগ্রহণ করবে কিনা সেটাও কেটে গেছে। নির্বাচন নিয়ে সব শঙ্কা কেটে গেছে। আশা করি নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন। ‘আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুলি তাকে দেবো’ এ নীতিতে ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছি। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে প্রার্থীরা তাদের ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার যথাযথ সম্মান করবেন এবং তা বাস্তবায়ন আন্তরিক থাকবেন। গণমাধ্যমে অতীতে গণতন্ত্রের পক্ষে ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে যে ভূমিকা রেখেছে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। দেশ এবং মানুষের কল্যাণই আমাদের লক্ষ্য।
এরপর তাবিথ আউয়াল প্রেস ক্লাবের নিচতলায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী অপর অংশের সভাপতি আবু জাফর সূর্য্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এরপর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাবিথ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, সাবেক সহ সভাপতি আবু দারদা জোবায়ের, সাবেক নির্বাহী সদস্য রাশেদুল হক।
এ সময় তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ত্র্যানিসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।