নিজস্ব প্রতিবেদক:১২ ডিসেম্বর,বুধবার।
প্রতীক বরাদ্দের পর আজ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রচারণা শুরু করেন তিনি। এরপর নিজ নির্বাচনী এলাকার কোটালীপাড়ায় প্রথম নির্বাচনী জনসভা করেন।
ছোটবোন শেখ রেহানাকে নিয়ে জন্মভূমির মানুষের কাছে ভোট চাইতে যান শেখ হাসিনা। এসময় তাদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পিতা-মাতা, ভাই হারা আমার আপন বলতে এই ‘ছোটবোন’ ছাড়া কেউ নেই। আর আছেন শুধু আপনারা। আপনারাই আমাদের বাবা-মা-ভাইয়ের স্নেহ দিয়েছেন। আপনারা আমাদের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনাদের মাঝে বাবা-মা-ভাইদের খুঁজে পাই।’
কোটালীপাড়াবাসী নিজেদের আপনজন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে পেয়ে আপ্লুত হন। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় দাড়িয়ে তাদের স্বাগত জানান। মুহুর্মুহু করতালি আর স্লোগানে তাদের রিসিপশন দেন কোটালীপাড়ার মানুষ। তাদের দাবি ছিল, তারা তো সব সময় শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনেন। এবার তারা শেখ হাসিনার পাশাপাশি শেখ রেহানারও বক্তব্য শুনতে চান।
কোটালীপাড়াবাসীর পক্ষে আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ বলেন, এলাকাবাসী আমাকে বলেছে, তারা শেখ রেহানার কাছ থেকে কিছু শুনতে চায়। আমি তাদের বক্তব্য আমাদের দুই নেত্রীর কাছে তুলে ধরলাম।
পরে তিনি নিজেই মাইকে ঘোষণা দেন, আমাদের জননেত্রী শেখ রেহানা আমাদের আবদার রক্ষা করেছেন। তবে ভিন্নভাবে। তিনি কথা বলবেন না। তার পক্ষে দুজন চিত্রনায়ক কথা বলবেন। তারা হলেন— রিয়াজ ও ফেরদৌস। এসময় একে একে রিয়াজ ও ফেরদৌস বক্তব্য দেন। তারা নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।
এরপর কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত ওই নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধী-খুনিদের সঙ্গে হাত মিলেয়ে যারা ক্ষমতায় আসতে চায়, ভোটের মাধ্যমে তাদের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। এসময় তিনি নৌকার প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র জয়ধর। শেখ হাসিনা ছাড়াও জনসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বাহাউদ্দীন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমদ হাসান রিপন, এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, বর্তমান সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বনানীসহ গোপালগঞ্জ জেলা ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। সেখানে তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া- কোটালীপাড়া) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।