কালের কাগজ ডেস্ক:১৮ জানুয়ারী,শুক্রবার।
সাভারের আশুলিয়ায় ইয়াগী বাংলাদেশ লিমিটেড নামক একটি পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক গণধর্ষণের এক দিন পর মারা যায়। ওই ঘটনার মূল আসামি ও একই কারখানার লাইন চিফ রিপনের (৩৯) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরে একটি খালি মাঠ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় নিহতের গলায় ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল আসামি’ লেখা একটি কাগজ পাওয়া য়ায়।
নিহত রিপন ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ এলাকার লতিফের ছেলে। আশুলিয়া এলাকায় থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভারের খাগান এলাকার আমিন মডেল টাউনের ভেতরে একটি খালি মাঠে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি সাভার মডেল থানায় অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় তার গলায় ঝুলিয়ে রাখা একটি কাগজে ‘আমি ধর্ষণ মামলার মূল আসামি’ লেখা ছিল।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তার গলায় ঝুলিয়ে রাখা পরিচয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে ওসি বলেন, কে বা কারা তাকে হত্যার পর এখানে ফেলে রেখে গেছে এ বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, একজন নারী শ্রমিক গণধর্ষণের একদিন পর মারা যায়। ওই ঘটনায় নিহত শ্রমিকের বাবার দায়ের করা মামলার মূল আসমি রিপন।
তিনিও রিপনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ, গত ৭ জানুয়ারি (সোমবার) আশুলিয়ায় ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের একদিন পর নির্যাতনের শিকার কিশোরীর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ওই কিশোরী। এ সময় স্থানীয় রহিম, শিপন ও কারখানার লাইন চিফ রিপনসহ পাঁচ বখাটে তাকে কারখানার পেছনের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
কালের কাগজ/প্রতিবেদক/জা.উ.ভি