আবুল হোসেন,গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) :২১ জুলাই-২০১৯,রবিবার।
দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত দুইটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও আসন্ন দৌলতদিয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম মন্ডল সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দাবী করেন একটি মহল তার ইমেজ ক্ষুন্ন করতে ও নির্বাচনে পরাজয় ঘটাতে তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
গত ১৭/০৭/২০১৯ইং তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত “গোয়ালন্দে আরেক এরশাদ শিকদার” শিরোনামে পদ্মা পারের ত্রাস নুরু মন্ডল-১ এবং ১৮/০৭/২০১৯ইং তারিখ শেষের পাতায় “দৌলতদিয়া ঘাট থেকে আয় শত কোটি টাকা শিরোনামে দুইটি বিশেষ অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু তিনি সংবাদ দুটিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রনোদিত, মানহানীকর, রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত সর্বোপরি শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের ভাবমূর্তি নষ্ট করার এ এক নোংরা উদাহরণ প্রচেষ্টা বলে দাবী করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে মোঃ নুরুল ইসলাম মন্ডল বলেন,তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং আসন্ন ২৫ শে জুলাই ২০১৯ইং তারিখে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী। আমি বরাবরই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। কোন দিনই বিএনপি কিংবা অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলাম না। রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগও ভিত্তিহীন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত হয়েছে মনগড়া। আমি এর কিছুই জানি না। পুলিশের আনা অভিযোগগুলো সঠিক নয়।
তিনি আরো বলেন, আমি বিগত দিনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দৌলতদিয়া এলাকায় বিএনপি সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলি, যার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি-জামায়াত কতিপয় নেতার মদদে স্থানীয় প্রশাসন আমাকে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যে বার বার জেল-জুলুম ও অত্যাচার শুরু করে এবং অসংখ্য রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। যার ফলে সে সকল রাজনৈতিক মামলার একটিতেও আমাকে এজাহারভূক্ত বা দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি বা করতে পারেনি। ওই সময় ক্ষমতাসীন সরকারের রাজবাড়ী-১ আসনের সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম আমাকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বিএনপিতে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন। অবশেষে আমার বিরুদ্ধে অত্র ঘাট এলাকার প্রায় সকল অপমামলার কোনটিতে প্রত্যক্ষ, কোনটিতে পরোক্ষ ও কোনটিতে হুকুমদাতা হিসাবে আসামী করে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে। তারপরও আমাকে প্রায় সাড়ে ৪ বছর মিথ্যা মামলায় জেল খাটায়।
বিএনপি সরকারের সেই ভয়ংকর নির্যাতনের মধ্যেও আমাকে দমাতে না পারার সাহসীকতার জন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মী ও সাধারণ জনগণ এই সরকারের আমলে এসে বিপুল ভোটে আমাকে দৌলতদিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে। সেই সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে। কিন্তু দলের বর্তমান কিছু সুযোগ সন্ধানী, নতুন ও ব্যাক্তি স্বার্থ অন্বেষনকারী নেতারা আমার বিরুদ্ধে গভীর স্বড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর অংশ হিসাবে ঐ শ্রেণীর নেতারা আমার এবং আমাদের এমপি আলহাজ কাজী কেরামত আলী মহোদয়কে দোষারোপ করে, বিএনপি আমলের সেই মিথ্যা মামলার নথীপত্রের কথা সংবাদপত্রে সু-কৌশলে উল্লেখ করে আমার নেত্রী কর্তৃক প্রাপ্ত নৌকা প্রতীকের নিশ্চিত বিজয় প্রতিহত করতে মিথ্যা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। সেই সাথে তারা আমার বর্তমান ইউপি নির্বাচন কালীন সকল প্রকার কর্মকান্ড বাঁধাগ্রস্ত ও রাজনৈতিক জীবনে কালিমা লেপন করতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে।
প্রকাশিত সংবাদ ২ টি এই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ । আমি এই সংবাদ ২ টিকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কালের কাগজ/প্রতিনিথি/জা.উ.ভি