গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি:১৯ এপ্রিল-২০১০,শুক্রবার।
শতাধিক বরযাত্রীসহ প্রায় ৩শ লোকের ভুড়িভোজ সম্পন্ন। বাড়ী ভর্তি মেহমান ও সাজ সাজ রব। বর-কণেও প্রস্তুত। সকলেই রয়েছেন ইমাম সাহেবের অপেক্ষায়। কিন্তু সেই সময় গিয়ে হাজির হলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা। তিনি আইনত এ বিয়ে দন্ডীয় অপরাধ ও বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন। উপায় না পেয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়ে ভেঙে দেন বিয়ে।
বৃৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর রিয়াজদ্দিন পাড়ায় এভাবে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রেহাই পান তমা আক্তার নামের এক শিশু। সে গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা আতাউর রহমান একজন দরিদ্র মুদি দোকানদার। রাজবাড়ীর সদর উপজেলার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের আহলাদীপুর এলাকার মজিদ শেখের ছেলে তৌহিদুল ইসলামের সাথে তার বিয়ের আয়োজন চলছিল।
গোয়ালন্দ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আ. সালাম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু গোপন সংবাদ পেয়ে আমাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। আমি বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক ও আইনগত শাস্তির বিষয় তুলে ধরলে বর ও কণে পক্ষ মুচলেকা দিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করে দেয়।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি