আবুল হোসেন,গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) :১৯ এপ্রিল-২০১৯,শুক্রবার।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় বাড়ীতে ঢুকে এক স্কুল ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল মুন্সির বিরুদ্ধে। জুয়েল দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শামসু মাস্টার পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহবায়ক। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শামসু মাস্টার পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর জখম ওই স্কুল ছাত্রের নাম হুমায়ুন আহমেদ (১৪)। সে বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে জুয়েলের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ ১০-১২ জন যুবক হুমায়ুনদের বাড়ীতে ঢুকে এ হামলা চালায়। হুমায়ুন দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সে একই গ্রামের হাসেম মোল্লার ছেলে।
হুমায়ুনের বড় বোন হামিদা খাতুন জানান, পহেলা বৈশাখের দিন ব্যক্তিগত একটি বিষয় নিয়ে জুয়েল ও হুমায়ুনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এর জের ধরে জুয়েল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সংঘবদ্ধ ভাবে আমাদের বাড়ীতে ঢুকে অতর্কিতভাবে হুমায়ুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময় বাড়ীতে থাকা আমার বাবা হাসেম মোল্লা, মা কমেলা বেগম ও ছোট বোন বেলী আক্তার ঠেকাতে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। তাদের আর্তচিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যায়। পরে লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে জুয়েলকে প্রধান আসামী করে আমরা গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে জুয়েলের ব্যক্তিগত ২টি মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
গোয়ালন্দ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রুবাইয়া তাবাসছুম বলেন, আহত হুমায়ুনের মাথা, হাত ও পেটে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত ছিল। সেখান দিয়ে প্রচুর রক্ত ঝরছিল। যে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফি বলেন, হামলার ব্যাপারে আহত হুমায়ুনের পরিবারের কাছে থেকে এখনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি