
আবুল হোসেন, রাজবাড়ী প্রতিনিধি :১০ মে-২০২২,মঙ্গলবার।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া বে- সরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতি ( এমএমএস) এর সহ-সভানেত্রী ও দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাড়ীওয়ালী মোছা. লিলি বেগমের সাত মাসেও সন্ধান মেলেনি। অজানা শংকায় দিন কাটছে স্বজনদের। লিলি বেগম কে ফিরে পেতে চায় পরিবার।
নিখোঁজের সন্ধানে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। দ্রুতই প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে আশাবাদী তারা।
থানায় জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর লিলি বেগম ( ৪০)কে তার কথিত স্বামী মো.আ. লতিফ শেখ তার গ্রামের বাড়ীতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায়। দাওয়াত খাওয়ার পর সে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি।
লিলি বেগম নিখোজের পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ ও তার আত্মীয় স্বজনদের বাড়ী খোজা খুজি করে,
সন্ধান না পাওয়ায় তার ভাগিনা জামালপুর জেলার পূর্ব আমখাওয়া গ্রামের মো. মিরাজুল হকের ছেলে শাফি ইসলাম ( ২১) গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ( নং ৫২১) তাং ১২.১১.২১
অপর দিকে নিখোজের ১ মাস পর লিলি বেগমের সন্ধান না পেয়ে তার জামাতা উত্তর দৌলতদিয়া হোসেন মন্ডলপাড়া গ্রামের আলী আব্বস শেখের ছেলে মুরাদ হোসেন ( ২৮) বাদী হয়ে হয়ে রাজবাড়ীর আদালতে লিলি বেগমের কথিত স্বামী ১. মো. আ. লতিফ শেখ, ২. তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও ছেলে ৩.রবিউল শেখের নামে অপহরণ মামলা ( মিসপি নং ৩২১/২১) দায়ের করেন। আদালত মামলা টি আমলে নিয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ কে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এছাড়া মুক্তি মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে তাদের নেত্রীর সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন, প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি, সহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।
মামলার বাদী মো. মুরাদ হোসেন বলেন, সাত মাস গত হয়ে গেলে এখন পর্ষন্ত আমার শাশুড়ী সন্ধান পেলাম না। আমি পরিবারের পক্ষ থেকে আমার শাশুড়ীর
সন্ধান চাই।
মুক্তি মহিলা সমিতির প্রোগ্রাম অফিসার আতাউর রহমান মুঞ্জ বলেন, মুক্তি মহিলা সমিতি যৌনপল্লীর নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করেন। নিখোঁজ লিলি বেগম সংস্থার সহ-সভানেত্রী ছিলেন। নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে তিনি কাজ করতেন। তাকে দ্রুত উদ্ধারে দাবি জানাচ্ছি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার জন্য বিশেষায়িত তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।