
মাহমুদুল হাসান, চৌহালী(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি :১৮ মার্চ-২০২৩,শনিবার।
কালের আবর্তে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য মাটির জালা আজ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় এক সময় গ্রামের মানুষ সকল প্রকার শষ্য মাটির (জালা)মুটকি বা মাটির কোলায় রাখা হত। আর অন্যান্য মাটির পাত্র রান্নাবান্নার মূল ভিত্তি ছিল।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় এক সময়ের ঘরের মাচায় সারিবদ্ধ ভাবে রাখা হতো মাটির জালা। সেই চিত্র এখন আর চোখে পড়ে না। কুমার মিস্ত্রি সূত্রে জানা যায়, মাটির জালা তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো জমির এঁটেল মাটি। মাটির কোলা,চুলা,হাঁড়ি পাতিল, হানকি প্লেট, কাদাসহ কত দরনের মাটির জিনিস পত্র তৈয়ার করতো। দীর্ঘদিন পর কোদালিয়া গ্রামে আওয়াল এর বাড়িতে তার ঘরের মাচায় সারিবদ্ধ জালার চিত্র সরেজমিন ক্যামেরা বন্ধি করা হয়।
চৌহালী উপজেলায় মাটির জালা ব্যবহারকারী কোদালিয়া গ্রামের শওকতের স্ত্রী শিরিন আক্তার (৩০) বলেন, কালের পরিবতনে বিলুপ্তি হতে চলেছে মুটকি, কোলা,জালা ও পাতিল। আমার শ্বশুর শ্বশুরির হাতের এই মাইটা পাতিল আমিও ধরে রাখতে মুটকি সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে রেখেছি।
আমিনা খাতুন বলেন, বাবদাদার হাতের এই জালাসহ মাটির চুলা ধরে রাখার চেষ্টা করি, ‘চুলাগুলোর নাম ছিল দো-চুলা, কয়লা চুলা, পাশ কাটা চুলা, আলোক চুলা ইত্যাদি। অন্যান্য চুলার চেয়ে মাটির চুলায় কাজ করে আরাম, তবে আধুনিকতার ছোয়ায় গ্রাম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা, আমি আমার পুর্ব পুরুষদের ঐতিহ্য মাটির চুলা(আইশাল) ধরে রাখতে চেষ্টা করছি।