রামপ্রসাদ সরকার দীপু ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ১৬ সেপ্টেম্বর-২০২২,শুক্রবার।
“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই ¯শ্লোগানকে ধারন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে হত দরিদ্রদের মাঝে সরকার নির্ধারিত মুল্যে পল্লী রেশন কার্ডের মাধ্যমে চাউল বিতরন মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭টি ইউনিয়নে ১৪ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এলাকার অসহায় হত দরিদ্ররা প্রত্যেক পরিবার ১৫ টাকা দরে কার্ডের মাধ্যমে ৩০ কেজি করে চাউল দেওয়া হবে। বর্তমান সরকারের আমলে ৩০ টাকা কেজিতে চাউল পেয়ে এলাকার শত শত দরিদ্র লোকজনের মাঝে চোখে মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। মোট হত দরিদ্রদের সংখ্যা ৪ হাজার ৩৫১ জন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সুত্রে জানা গেছে, হত দরিদ্রদের তালিকা যাচাই বাছাই পর থেকে চাউল বিতরন শুরু হয়েছে। বছরে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর,নভেম্বর, মার্চ ও এপ্রিল এই ৫ মাস ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাউল পাবে রেশন কার্ডধারি প্রতিটি পরিবার। ভোক্তারা ১৫ টাকা দরে চাল পেলে ও সরকার সাড়ে আট টাকা দরে ডিলারদের মাঝে চাল দিচ্ছে। প্রত্যেক ডিলার ১ টাকা ৫০ পয়সা ডিলারদের পরিবহন খরচ ও মুনাফা ধরা হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ের এ প্রকল্পের স্থানীয় সংসদ সদস্য এ, এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে। সভাপতি হিসাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদস্য সচিব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য পরিদর্শক সহ ৯ সদস্যের একটি শক্তিশালী কমিটি রয়েছে। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের একজন বিভাগীয় কর্মকর্তা সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে সদস্য সচিব করে কমিটি করা হয়েছে। কার্যক্রম চলাকালীন এ কমিটি সার্বক্ষনিক বাজার মনিটরিং করবে। এদিকে সুবিধাভোগী পরিবারের যোগ্যতা, ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা, হত দরিদ্র সুবিধা পরিবারের প্রধান,জাতীয় পরিচয় অধিকার, নারী প্রধান পরিবার অগ্রাধিকার পাবে। শুধু একই পরিবারের একাধিক পরিবারকে কোন ক্রমেই এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। সরকারি নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতার্ভূক্ত ভিজিডি কর্মসূচির সুবিধা প্রাপ্তরা এ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা যাবেনা। প্রতি ৫০০ পরিবারের জন্য একজন ডিলার নিয়োগ পাবে। সবচেয়ে বড় হাট বাজারে নির্ধারিত পাকা দোকান ঘর থাকতে হবে। প্রত্যেক ডিলারের দোকান কমপক্ষে ১৫ টন চাউল সংরক্ষনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে। কোন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী এবং প্রতিনিধি ডিলার হতে পারবেনা।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাউল ডিলার আলী ইকবাল বাহার ভিপি শামীম ও উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক এবং চাল ডিলার ব্যবসায়ী সাধারন সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান দরজী লাবলু জানান, সকাল থেকে বিকাল ৫টা পযন্ত চাউল সুষ্ট সুন্দরভাবে বিতরন করা হচ্ছে। তবে এবার ৩০ কেজি ওজনের চাউলের বস্তা দেওয়া হয়েছে। এলাকার অসহায় লোকজনের অনেক উপকার হচ্ছে। তবে হত দরিদ্রদের জন্য আরো কার্ড বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন, সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে আমাদের (ডিলারদের) কোন লাভ থাকেনা। কাজেই বিষয়টি স্থানীয় স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্ঠি কামনা করছি।
ঘিওর গোলাপনগর গ্রামের চাউল নিতে আসা শেফালী, নরেশ, বিলকিস, কাজলীসহ অনেক দরিদ্র লোকজন জানান, ১৫ টাকা দরে চাল পেয়ে আমরা পরিবারের লোকজন শান্তিতে তিন বেলা খাবার খেতে পারছি। বাজারে চালের মূল্য অনেক বেশি । এই কাড পেয়ে আমাদের অনেক উপকার হচ্ছে।
উপজেলা ওসিএলএসডি নিতীশ কুমার দাশ জানান, প্রতি কাডধারীকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি দোকোনে ট্যাগ অফিসারসহ মনিটরিং কমিটি তদারকি করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হামিদুর রহমান জানান, বর্তমান সরকার হত দরিদ্রদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ কর্মসূচি চালু করেছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পল্লী রেশন কার্ডের মাধ্যমে প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাউল দেওয়া হচ্ছে। মনিটরিং টিম কর্মসূচি চলাকালীন সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছে। প্রথম কৃস্তি চাল দেবার পরে ডিলারদের দোকান পরিদর্শন করেছি। তবে এ কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকার জনগনের অনেক উপকার হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।