রামপ্রসাদ সরকার দীপু ,ঘিওর(মানিকগঞ্জ):১৬ এপ্রিল-২০২০,বৃহস্পতিবার।
সারা বিশে^র মত বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস (কোভিড -১৯) ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানিকগঞ্জের ঘিওরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সকলের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন,থানা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জনসমাগম এড়াতে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন ত্রি-পক্ষীয় একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা মেনে বাজারের সকল পাইকারী- খুচরা কাঁচা বাজার, মাছ বাজার দুধ বাজারটি অন্যত্র স্থানান্তরের সিধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মুরগী, মাংশের দোকান এখনও সরানো হয়নি। ফলে অনেক ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গত এক সপ্তাহ আগে ওই সিদ্ধান্ত নেবার পরে গত রবিবার থেকে ঘিওর মধ্য বাজার থেকে কাঁচা বাজার এবং মাছ বাজারটি ঘিওর ডি, এন হাই স্কুল মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। মাঠের এক পাশে সামাজিক নিরাপত্তা মেনে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজী। অপর পাশে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও দুধ। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেনাবেচা চলে। স্থানীয় প্রশাসনের এই সিন্ধান্ত বাস্তবায়ন হবার পরে পুরে এলাকাতেই লোকজনের সমাগম অনেক কমে গেছে। তবে সবজীসহ বিভিন্ন মসল্লা ডাল, মাছ ও চালের দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুন। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে রাতারাতি চাল, ডাল সিগারেট, চিনি, ভ’ষির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। ঘিওর ডি, এন হাই স্কুলের মাঠে বাজার পরিদর্শনে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব। এ সময় তিনি বাজারের বিভিন্ন দোকানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। এবং ব্যবসায়ীদের খোঁজ খবর নেন। তিনি ব্যবসায়ীদের উর্দ্দেশে বলেন, বর্তমানে সারা বিশে^ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আমরা সকলেই উদ্ধিগ্ন। তার পরেও সরকারি নির্দেশনা আমাদের সকলকেই মেনে চলতে হবে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নির্ভয়ে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। আমরা আপনাদের নিরাপত্তা দেব এবং আমরা আপনাদের পাশে সব সময় আছি।
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, মরণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঘিওর বাজারটি স্থানান্তর করা হয়েছে। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের করোনা ভাইরাসের সংক্রামনের হাত থেকে নিরাপদে থাকার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এদিকে কাচাঁমাল বাজার ঘুরে দেখে গেছে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ব্যবসায়ীরা কেনা বেচা করছে। চারিদিকে ক্রেতা বিক্রেতাদের হাঁকডাক।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার জানান, বাজারে ব্যবসায়ীদের যাতে কোন রকম সমস্যা না হয় এই জন্য সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং তৎপরতা চালানো হচ্ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য ইতোমধ্যে সকল প্রকার মাইকিং,প্রচার প্রচারনা এবং মোবাইল কোর্ট সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছে। নতুর বাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ী ভজন, বাহাদুর, শুকুর জানান, নতুন হিসাবে বাজারে কাচাঁমাল আমদানি ও কেনাবেচা ভালই হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি ভাল হলে বাজারটি আরো জমজমাট হবে।
এলাকার অভিজ্ঞ মহল ও শুশিল সমাজের প্রতিনিধিগন সাংবাদিকদের জানান,বর্তমানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লোকসমাগম ঠেকাতে এবং যানজট কমাতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রশংসনীয় এমন সিদ্ধান্তকে তারা ধন্যবাদ জানান। তবে সুন্দর একটি বাংলাদেশের জন্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য তারা আহবান জানিয়েছেন।