Logo
ব্রেকিং :
ঘিওর ও শিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা সিংগাইরে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবি পুলিশের এসআই সহ ৬ জন আহত । হেরোইন সহ ২ জন গ্রেফতার ফরিদপুরের নগরকান্দায় নির্মানকালে ভেঙ্গে পড়লো ব্রীজ আদমদীঘিতে দুই মাদক সেবির তিন মাসের কারাদণ্ড বগুড়া আদমদীঘিতে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু নেত্রকোনায় ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় সভা নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্স মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)র অভিযানে হেরোইন ও ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার দৌলতপুরে স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় পিআইওসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

ঘিওরে সাহেব আলী খান মহিলা দাখিল মাদরাসাটি জাতীয়করন না করায় শিক্ষকদের মানবেতর জীবন যাপন

রিপোর্টার / ২৭ বার
আপডেট শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২০

রামপ্রসাদ সরকার দীপু ঘিওর( মানিকগঞ্জ):১৭ জানুয়ারী-২০২০,শুক্রবার।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সাহেব আলী খান মহিলা মাদরাসাটি দীর্ঘদিন অতিবাহিত হবার পরেও জাতীয় করন না করায় কর্মরত শিক্ষকদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বর্তমানে মাদ্রাসাটি বন্ধ হবার উপক্রম হয়ে পরেছে।
জানাগেছে, ঘিওরের কুস্তা গ্রামের লন্ডন প্রভাসী প্রয়াত ডাঃ আব্দুল রহিম খান ২০০৪ সালে উপজেলা সদরে ১৩০ একর জমির উপরে অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে এই মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষকদের বেতনসহ সকল প্রকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা তিনি করতেন। শিক্ষার হার ছিল শতভাগ। অল্প দিনেই এলাকাতে সুনাম ছড়িয়ে পরে। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি মারা যাবার পরে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পরে। বর্তমানে ২য় শ্রেনী থেকে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক সংখ্যা বর্তমানে ১৪ জন এবং তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী আছে ২জন। চলতি বছরেও শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করে। দুঃখের বিষয় মাদরাসাটিতে উপবৃত্তিরও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেই। পর্যাপ্ত বেঞ্চ, চেয়ার নেই। দরজা, জানালাগুলো ভাংগাচোড়া। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে নিয়োমিত অংশগ্রহন করে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। দেশের কোন হৃদয়বান ব্যক্তি (ডোনার) এগিয়ে আসলো প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব । তা না হলে বন্ধ হয়ে যাবে এই প্রতিষ্ঠানটি। সাহেব আলী খান মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার হযরত মাওলানা আবুল হোসেন জানান, লন্ডন প্রবাসী ডাঃ আব্দুর রহিম খান জীবিত থাকাকালিন শিক্ষকদের মাসিক বেতনসহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা তিনি দিতেন। কিন্তু তিনি মারা যাবার পরেও দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষকদের বেতন বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে।
মাদরাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ কে এম সারোয়ার কিরন খান জানান, উপজেলা সদরের মধ্যে সুন্দর মনোরম পরিবেশ গড়ে উঠে এই প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আব্দুর রহিম খান মারা যাবার পরে প্রতিষ্ঠানটি টেকিয়ে রাখতে খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়া ১৬টি বছর অতিবাহিত হবার পরেও জাতীয়করন না করায় কর্মরত শিক্ষকরা সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কর্মরত শিক্ষকদের পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর সূদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে এলাকার অভিজ্ঞ মহলের ধারনা করেন।


এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com