Logo
ব্রেকিং :
ঘিওর ও শিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা সিংগাইরে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ডিবি পুলিশের এসআই সহ ৬ জন আহত । হেরোইন সহ ২ জন গ্রেফতার ফরিদপুরের নগরকান্দায় নির্মানকালে ভেঙ্গে পড়লো ব্রীজ আদমদীঘিতে দুই মাদক সেবির তিন মাসের কারাদণ্ড বগুড়া আদমদীঘিতে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু নেত্রকোনায় ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় সভা নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্স মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)র অভিযানে হেরোইন ও ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার দৌলতপুরে স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় পিআইওসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

ঘিওরে ৮২ টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায়ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

রিপোর্টার / ২১ বার
আপডেট শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

রামপ্রসাদ সরকার দীপু ,ঘিওর(মানিকগঞ্জ) থেকে:১৫ ফেরুয়ারী-২০২০,শনিবার।
ভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর অতিবাহিত হবার পরেও মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার শহীদদের স্মরণে অধিকাংশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এবং মাদ্রাসাগুলোতে কোন শহীদ মিনার নেই। শহীদ মিনার না থাকার দরুন অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলারে ৭টি ইউনিয়নে ২২টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, ৬টি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় ৮৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩টি মাদারাসা আছে। এর মধ্যে ৫টি উচ্চ বিদ্যালয়,৬টি জুনিয়র হাই স্কুল ৬৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩টি ¤্রাদাসাসহ মোট ৮২টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। ফলে বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শহীদদের প্রতি তাদের অনুভুতি ও ¤্রদ্ধা জানাতে পারেনা। যাদের ত্যাগ,তীতিক্ষা ও রক্ষের বিনিময়ে বাংলাদেশ অভ’্যদয় ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিস্মারক এবং আমাদের অস্তিত্বের প্রতীক সেই ৫২’র ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে বিদ্যালয়েগুলোতে শহীদ মিনার না থাকার দরুন অনেক শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ছাত্রছাত্রীরা স্ব-স্ব বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মানের দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তবে কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও বছরে দু’ তিনদিন ঝকঝকে চকচকে করে রাখা হয়। বাকি দিনগুলোতে অযতœ অবহেলা পরে থাকে। তবে অধ্যায়নরত অনেক শির্ক্ষাথীদের অমর ২১ ফেব্রুয়ারি ও ভাষা শহীদদের অবদান সম্পর্কে তাদের তেমন ধারনা নেই বললেই চলে। দিবসগুলোতে প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসুচির আয়োজন করা করা হলেও তাতে শেখার কিছু থাকেনা। ছাত্রছাত্রীরা দিবসগুলোকে বিশেষ ছুটির দিন হিসাবে জানে। নতুন প্রজন্ম ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছেনা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা হাতেগোনা ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। বছরের অধিকাংশ সময় শহীদ মিনারগুলো অযতেœ পরে থাকে। জাতীয় দিবসগুলোতে ধুয়ে-মুছে পরিস্কার করা হয়। দিবস শেষে শহীদ মিনারের খবর আর কেউ রাখেনা। নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় অযতœ অভিভাবকহীন পরে থাকে। সব চেয়ে আশ্চর্য বিষয়, ঘিওর সদরে ৩/৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় আছে। দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে বিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখা হয়। শিক্ষিত, অভিজাত ও ধণাঢ্য পরিবারের সন্তানেরা এখানে পড়ালেখা করে। অথচ এসব বিদ্যালয়গুলোতেও শহীদ মিনার নেই। রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা করে। অথচ আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় তারা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার মোঃ কবির হোসেন জানান, উপজেলার ৮৪টি বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় আছে।তবে ৬৮টিসঃ প্রাঃ বিঃ শহীদ মিনার নেই। তবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান করা প্রয়োজন।
ভাষা সৈনিক ও তেরশ্রী কে. এন. ইনস্টিটিউশনের সাবেক প্রধান শিক্ষক কমরেড আব্দুল হাকিম মাস্টার জানান, ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানাতে সমস্ত বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মান করা প্রয়োজন। বহু ত্যাগ তিতিক্ষার এবং রক্তের বিনিময়ে আমারা বিজয় অর্জন করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ৬৭ বছর অতিবাহিত হবার পরেও আমরা দেশের সর্বস্তরে মাতৃভাষা বাংলার প্রয়োজন ও প্রচলনে ব্যর্থ হয়েছি। কেবল ফেব্রুয়ারি মাস এলেই আমরা বাংলা ভাষার ব্যপারে তৎপর হই। তবে সর্বক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলা ভাষার বাস্তবায়ন করা হোক । উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার জানান, ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানান জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মান করা প্রয়োজন।


এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com