চৌহালী(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ৩০ জুলাই-২০১৯,মঙ্গলবার।
নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমতেও যমুনা ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় খাষপুখুরিয়া, রেহাই পুখুরিয়া, মিটুয়ানি ও চরসলিমাবাদ(ভুতেরমোড়) এলাকায় ভাঙ্গছে নদী কাদছে মানুষ। চলতি বর্ষায় যমুনার অব্যাহত ভাঙ্গনে রেহাই পুখুরিয়া নতুন পাড়া ও মিটুয়ানি তাঁতীপারা ধ্বংস্তবের মহামারিতে লন্ড-ভন্ড, নজর নেই কর্তৃক পক্ষের।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলে ভাঙছে নদী, বিলীন হচ্ছে-চিরচেনা বসতভিটা-ফসলি জমি কবরস্থান শিক্ষাঅঙ্গন বাজার ও তাঁত শিল্প এলাকায় মানুষের হা-হা-কার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক সময়ের বিত্তশালীরা অসহায় হয়ে খুঁজছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। তাদের করুণ আর্তনাদে যমুনা পাড় যেন ভাড়ি হয়ে আসছে। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ প্রতিদিনই আসছে যমুনার নির্লজ্জ ভাঙনের তান্ডবনীলা দেখতে। উপজেলার দক্ষিন অঞ্চলের খাষপুকুরিয়া,শাকপাল,রেহাইপুখুরিয়া নতুন পাড়া, মিটুয়ানি, বাঘুটিয়ার চরসলিমাবাদ ভুতেরমোড় এলাকায় চলছে নদী ভাঙ্গন। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও হৃ্রাস পাওয়ায় গত দেড় মাসের ব্যবধানে নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত (ভাঙ্গনরোধ)প্রকল্প জনতা স্কুল থেকে মিটুয়ানি পর্যন্ত ৩কি,মি, ও চরসলিমাবাদ ভুতের মোড় এলাকায় ১ কিলোমিটার জুরে শতাধিক বসতভিটা,বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২শতাধিক হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
সোমবার দুপুরে দেখা গেছে, উপজেলার রেহাইপুখুরিয়া নতুন পাড়া,খাষপুখুরিয়া তাঁতীপাড়া ও চরসলিমাবাদ ভুতেরমোড় গ্রামে চলে ভয়াবহ ভাঙন তান্দব নিলা। হুমকির মুখে পরেছে প্রাকৃতিক জীবকুল ও মিটুয়ানি শত বছরের কবরস্থান,দেওয়ানগঞ্জ বাজার, বি এম স্কুল,খাষপুখুরিয়া,খাষদেলদারপুর সপ্রাবি,বিরবাউনিয়া,মিটুয়ানি, চরনাকালিয়া, বিনানই, সুম্ভদিয়া স্কুল, মাদ্রাসা, ,চৌবাড়িয়া টেকনিক্যাল কলেজ,পয়লা হাইস্কুল,পয়লা দাখিল মাদ্রাসা,চৌবাড়িয়া স্কুলসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান ।
স্থানীয় ভোটার তাত ব্যবসায়ী পলান মোল্লা,গোলাম মোস্তফা,সেকান মোল্লা,আনসার,জালাল ও রহিমা বেগম ও ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম বলেন, বর্ষা আসলেই যমুনার ভাঙ্গন রুদ্ধরুপ ধারণ করায় আমাদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। বিশেষ করে খাষপুখুরিয়া মিটুয়ানি সড়ক, বহু তাঁত কারখানা, কয়েকশ’ ঘরবাড়ি, বাজার,স্কুল,মসজিদ,কবরস্থান,দোকান পাট চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে। যমুনার পুর্ব পাড় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করেছে শুনেছি আমাদের নজরে পরেনি। তাতীপাড়াসহ এলাকা দফায় দফায় নদীর পাড় পরিদর্শন করা হয়েছে অথচ রোধের কোন লক্ষন নেই। ভাঙ্গন কবলে পরে খোলা আকাশে মানবেতর জীবনযাপন করছে অনেকে। আবার ঝড়-বৃষ্টি ও প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে অনেক পরিবার তাদের নিজ নিজ আত্মীয়-সজনদের পাশে গিয়ে আশ্রায় নিতে ঘরসহ মালামাল নৌকায় তুলছে যার বাস্তব চিত্র সরেজমিন। চিরচেনা বসতভিটা-ফসলী জমি ও প্রকৃতিক হারিয়ে পথের ফকির হতে বসেছে অনেকেই। তাঁতশিল্প এলাকায় দ্রুত জিওব্যাগ ডাম্পিং ও ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ভেরীবাধ ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে মানচিত্র থেকে মুছে যাবে চৌহালী,মানুষ বাচলে গ্রাম হবে শহর।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি