Logo
ব্রেকিং :
নেত্রকোনায় জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মশালা অনুষ্ঠিত সিংগাইরে ডাকাতির মালামাল ও অস্ত্রসহ ৮ ডাকাত গ্রেফতার মানিকগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন আব্দুস সালাম কেন্দুয়ায় অবরোধের সমর্থনে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল নেত্রকোনা-৪ আসনে আ’লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল দৌলতদিয়ায়  নারী ও শিশুদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন প্রকল্প বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত  সহিংসতা ছেড়ে আশাকরি বিএনপিও নির্বাচনে আসবে— স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু তৃতীয়বারের মতো মনোনয়ন পেলেন উল্লাসে আসছে নাগরপুর   মানিকগঞ্জ-১আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র নিলেন এস.এম জাহিদ নেত্রকোনায় বিএনপির আন্দোলনে সক্রিয় রোটারিয়ান নাজমুল হাসান
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

ছয় মাসেও অগ্রগতি নেই স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলা,  মেয়ের খোঁজ না পেয়ে দিশেহারা অসহায় পরিবার

রিপোর্টার / ৬৪ বার
আপডেট শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:০৮ অক্টোবর-২০২২,শনিবার।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া আক্তার (১৫) ছয় মাস ধরে নিখোঁজ। সে বেঁচে আছে কি মারা গেছে আজও জানতে পারেনি পরিবার। বেঁচে থাকলেও কোথায় আছে, কেমন আছে তাও জানেনা তারা।
জিডি করলেও থানা পুলিশ কোন হদিস দিতে না পারায় অপহরণ মামলা করতে গেলে নেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করার পরও কোন খোঁজ মেলেনি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটির। আসামীদের বিরুদ্ধেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। বরং পুলিশ ও আসামীদের পক্ষ থেকে উল্টো নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করেছে অসহায় পরিবারটি।
নিখোঁজ মেয়েটির মা সামিনা বেগম বলেন, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল সকাল ৭ টায় সাদিয়া সাতপাই স্কুল সংলগ্ন জিনিয়াস কোচিং সেন্টারে যায়। দুপুর পেরিয়েও না আসায় আশেপাশে খোঁজ করে না পেয়ে এলাকার লোকজনের তথ্যামতে প্রতিবেশী ফিরোজুল ইসলাম মদনের (৫০) বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করি। কিন্তু তারা টালবাহানা করে।
জানা যায়, মদনের ছেলে মোখলেছুর রহমান চঞ্চল (২০) তার বাবা মায়ের সহযোগীতায় আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে অপহরণ করেছে। তাদের কোন আত্মীয়দের বাসায় লুকিয়ে রেখেছে। সে অনুযায়ী ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে জানালে তারা ২ দিনের সময় নেয়। এর পরদিন ফিরোজুলের স্ত্রী মোসলেমা (৪২) তার ছেলে চঞ্চল ও আমার মেয়ের খোঁজ করার কথা বলে বাবার বাড়ি যায়। তিনি আর ফিরেননি এবং সাদিয়ার কোন খবরও দেয়নি। ফলে ৭ এপ্রিল সৈয়দপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করি। জিডি নং ৪৩০।
পুলিশ তদন্তে আসলে ফিরোজুলও পালিয়ে যায়। এতে আমাদের সন্দেহ হয় যে, তারা সপরিবার পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখেছে। তাই তাদের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করি। কিন্ত কোথাও আমার মেয়েসহ তাদের কাউকে পাইনি।
সাদিয়ার বড় ভাই মো. শুভ ইসলাম বলেন, ১০ দিন পেরিয়েও পুলিশও কোন হদিস করতে না পারায় এবং ঘটনার সাথে ফিরোজুল গং জড়িত থাকা নিশ্চিত হওয়ায় অপহরণ মামলা দিতে গেলে থানা নেয়নি। বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। সিআইডি কে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিলেও ৬ মাস থেকে কোন অগ্রগতি নাই।
মেয়েটির বাবা শহিদুল ইসলাম আক্ষেপের সাথে বলেন, জানিনা কবে সিআইডি প্রতিবেদন দিবে, আর কতদিনেই বা আমরা মেয়ের খোঁজ পাবো? আল্লাহই ভালো জানেন অপরাধীদের আদৌ শাস্তি হবে কিনা! এমনিতে আমরা মেয়েকে হারিয়ে চরম দুশ্চিন্তায়। তার উপর পুলিশ, সিআইডি, আসামীর দালালরা নানাভাবে হয়রানী করছে। কেউ কেউ মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে।
মামলার ৩ নং আসামী চঞ্চলের চাচা ফয়জুল করিম (৪৫) বলেন, তারা কোথায় আছে আমরা জানিনা। কোন যোগাযোগই নাই। বাড়িতে তালা। তবে মেয়েটির পরিবার মামলা তুলে নিলে ছেলে-মেয়েকে সহ সবাই ফিরে আসবে।
একইভাবে চঞ্চলের দুলাভাই রেজাউল ইসলাম বুড়া মোবাইলে জানান, শালা শ্বশুর শ্বাশুড়ীর কোন খোঁজ জানা নাই। মাঝে মেয়ের পরিবারের সাথে সমঝোতার জন্য যোগাযোগ করলেও তারা মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় আমি আর কারও সাথেই নেই। দোষ না করেও মামলার আসামী হয়েছি। স্বামী-স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে  পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির এসআই প্রদীপ ব্যাণার্জীর ০১৭১৯০৪১৮৫৯ নম্বরে বার বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ না করায় তাঁর মতামত জানা সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় পরিবারটি মেয়ের খোঁজ না পেয়ে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত এব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। (ছবি আছে)


এ জাতীয় আরো খবর
Tech Support By Nagorikit.Com