মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:৩১ আগস্ট-২০২২,বুধবার।
মারপিটের ঘটনায় স্থানীয় শালিসে জুতাপেটা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার রাগ মেটাতে মাদ্রাসা ছাত্র সিফাতকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে মারামারির ঘটনার বিবাদী পক্ষ। বুধবার (৩১ আগস্ট) সাংবাদিকদের ব্রিফকালে সিফাত হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীর ভাষ্য অনুযায়ী মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম এমন ধারণা প্রকাশ করেন। তবে এ হত্যাকাÐে একাধিক ঘাতক জড়িত জানালেও তদন্তের গোপনীয়তার স্বার্থে নাম ও ঘাতকের সংখ্যার বিষয়টি নির্দিষ্ট করে বলেননি এই কর্মকর্তা। সাংবাদিকদের ব্রিফকালে লিখিত ও মৌখিকভাবে তিনি আরও জানান, ধৃত আসামীদের কাছ থেকে হত্যাকাÐের শিকার সিফাতের ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকাÐে ব্যবহৃত একটি লোহার রিং উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবু তালেব সিদ্দিকী (৭০) ও কাটরা উত্তর পাড়া গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে মো. মেহেতাব মিয়া (১৮)। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মুশুরীয়াগোনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকেলে চটপটি খাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় ৭ম শ্রেণী ও হাফেজি পড়–য়া সিফাত। এরপর রাত সাড়ে এগারোটার দিকে মির্জাপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত জেলেপাড়ার একটি ক্ষেত থেকে নৃশংস অবস্থায় সিফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত ১৮ই আগস্ট মাছ শিকারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিফাতকে মারপিট করে স্থানীয় গ্রেপ্তারকৃত তালেব সিদ্দিকীর নাতি হিরণ ও আরও কয়েকজন। পরে ২১ আগস্ট শালিসের মাধ্যমে হিরণকে ২০ বার জুতাপেটা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন স্থানীয় মাতব্বররা। বুধবার (৩১ আগস্ট) ¬দুপুরে রিপোর্টটি লেখাকালিন গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী টাঙ্গাইল জেলা আদালতে ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতের কাছে তাদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম।