Logo
ব্রেকিং :
মানিকগঞ্জ  জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)র এক অভিযানে হেরোইন সহ ১ জন গ্রেফতার দৌলতপুরে চকমিরপুর প্রিমিয়ার লীগ টি- ২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন নাগরপুর গণহত্যা দিবস উদযাপন নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং নেত্রকোনায় গনহত্যা দিবস পালিত চৌহালীতে হাজি আব্দুল মজিদ মন্ডল ফাউন্ডেশনের ইফতার  সামগ্রিক পেয়ে ভাঙ্গন কবলিত মানুষ খুব খুশি  নাগরপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে খন্দকার আছাব মাহমুদ নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় ময়ের কোল ফিরে পেল জমজ শিশু নিম্নমানের খোয়ায় হচ্ছে ৬৪ লাখ টাকার সড়ক নির্মাণ, নীরব কর্তৃপক্ষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের মনিটরিং লিফলেট বিতরণ
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে দিতে ঘুমন্ত মুসলিমদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়: আনন্দবাজার

রিপোর্টার / ২৫ বার
আপডেট বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

কালের কাগজ ডেস্ক ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০,

ভারতের দিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের পক্ষে ও বিপক্ষে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির মুসলমানদের ওপর ব্যাপক নিপীড়নের খবর বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমে বিশেষভাবে জায়গা করে নিয়েছে।

এছাড়াও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমও এ ধরণের সহিংসতা ও নিপীড়নের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে বিশেষ মানবিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক সহিংসতজয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে দিতে হাজারখানেক যুবক ঘুমন্ত মুসলিমদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ৬৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ তাহির খাজুরি খাসের চার নম্বর গলির মুখটায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। পাশে দাঁড়ানো তাঁর দুই পুত্রবধূও কাঁদছিলেন। গলির মুখ থেকে তাদের বাড়িটা ছিল খান চার-পাঁচেক বাড়ির পরেই। পুরো বাড়িটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

মঙ্গলবার গভীর রাতে তারা ঢুকেছিল তাহিরদের গলিতে। তাদের হাতে ছিল বন্দুক, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র। গলিতে ঢুকেই তারা সেখানকার বাসিন্দাদের মারধর করে লুটপাট শুরু করে। এরপর একটা একটা করে বাড়িতে আগুন লাগাতে থাকে তারা। লোকজন যে বাড়িগুলির ভিতরে রয়েছেন, তার পরোয়াই করেনি কেউ। বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে দেখে প্রাণে বাঁচাতে বাড়ির ছাদ টপকে টপকে তাহিররা পৌঁছে যান গলির শেষ প্রান্তে। পালিয়ে প্রাণে বাঁচতে পেরেছিলেন তাহিররা।

ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তাহির বললেন, ‘ওরা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিল। আমরা পড়িমড়ি করে বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করলাম। কোমর থেকে পঙ্গু আমার বউ। ও পারল না। আমার দুই ছেলেও গুরুতর জখম হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুই আমরা দাঁতে কাটিনি। আমার সদ্যোজাত নাতিনাতনিরা পানি খেয়ে রয়েছে।’

অগ্নিসংযোগের হাত থেকে রেহাই পায়নি গলির হিন্দু বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি। খাজুরি খাসের চার নম্বর গলিতে যত মুসলিম পরিবার থাকতেন, মঙ্গলবার গভীর রাতের ভয়াবহ ঘটনার পর তাঁরা সকলেই সেখান থেকে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছেন।

খাজুরি খাসের চার নম্বর গলির হিন্দু বাসিন্দারা ওই সময় তাদের মুসলিম পড়শিদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। মুসলিমদের ঘরবাড়িগুলি যখন পুড়ছে, তখন তারা নিজেদের বাড়ি থেকে বালতির পর বালতি পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পারেননি, জানালেন চার নম্বর গলির এক হিন্দু বাসিন্দা। যিনি কিছুতেই তার নাম জানাতে চাইলেন না। ভয়ে, যদি এরপর তার ওপরেও চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা।

শুধু খাজুরি খাস নয়। মৌজপুর বাবরপুর, ভাগীরথী বিহার, সর্বত্রই এ তাণ্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতীকারীরা।:

আনন্দবাজার


এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com