টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :১৮এপ্রিল২০১৯,বৃহস্পবিার।
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানি এক কিশোরী ছাত্রীকে (১৭) অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ওই কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ ধর্ষকের মা আনোয়ারা বেগমকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, গত বছরের ২২ নভেম্বর ভিসা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বেড়াতে এসে অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। সে পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের নাগরিক এবং সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর আনুমানিক ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচিতে পাকিস্তানি নাগরিক নীলুফার বেগমকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেছিলেন। পাঁচ মাস আগে পাকিস্তানি নাগরিক নীলুফার বেগম গত বছরের নভেম্বর মাসে ৬ মাসের ভিসায় মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন।
তিনি উত্তর গোপালপুর গ্রামের ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে উঠেন। সেখানে উঠার পর থেকেই আরেক ভাসুর আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন ওই কিশোরীকে হয়রানি করতে থাকে। পারিবারিকভাবে বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টাও করা হয়। এদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার খবর শুনে আল আমিন ক্ষুব্ধ হয়। গত ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে একদল সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় তাকে চাচার বাড়ি থেকে কৌশলে অপহরণ করে। পরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল বুধবার রাতে আল আমিনসহ তিনজনকে আসামি করে নীলুফার বেগম গোপালপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দি অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ধর্ষকের মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।
এ ব্যাপারে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আসলাম উদ্দিন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কিশোরীর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ধর্ষিতা বাংলা বলতে না পারায় এবং দোভাষী না পাওয়ায় তার জবানবন্দি নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় ধর্ষকের কঠিন শাস্তি দাবি করে ওই কিশোরীর মা জানান, তিনি ও তার মেয়ে বাংলা ঠিকমতো বলতে পারেন না। বাবার দেশ শখ করে দেখতে এসে নিজের পরিজনের হাতেই সর্বনাশের শিকার হলো তার কিশোরী মেয়ে।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি