টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :২২এপ্রিল ২০১৯,সোমবার।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিধবা নাজমা ওরফে ধলাবানু (৪২) হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ছয় মাস পর খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মুঠোফোনের সূত্র ধরে উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামের আলমগীর হোসেনকে (২২) গ্রেপ্তারের পর আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়।
রোববার গ্রেপ্তার আলমগীর টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, পুলিশ ওই নারীর মুঠোফোনের সূত্র ধরেই গত শনিবার সখীপুর বাজার থেকে এ হত্যা মামলার আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি রোববার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি জানান—পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিমা বংকী বেতুয়াপাড়ার বাসায় বিধবা নাজমা একাই থাকতেন। এ সুযোগে ছয়জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। চিৎকার করায় ওই বিধবার গলায় গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে গোসলের কক্ষে রেখে পালিয়ে যান।
খুনিরা তার মুঠোফোন ও গায়ের স্বর্ণালঙ্কারও লুট করে নিয়ে যায়। ওই মুঠোফোনের সূত্র ধরেই আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলমগীর হোসেন ধর্ষণ না করে সহযোগিতা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, এ ছাড়া ঘটনায় হাবিব (২৩) নামের নামের অপর এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হলে রিমান্ড শুনানির দিন আগামী ২৫ এপ্রিল নির্ধারণ করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ অক্টোবর বিকেলে সখীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়ির টয়লেট থেকে নাজমার অর্ধ্বগলিত লাশ উদ্ধার করা হয় । ওইদিন রাতেই নাজমার ছোট ছেলে আজিজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি