নাগরপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:১৬এপ্রিল- ২০১৯,মঙ্গলবার।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরী (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ধর্ষণে অভিযুক্ত ও ধর্ষণে সহায়তাকরীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
অভিযুক্ত ধর্ষক মোবারক হোসেন (২০) উপজেলার বেকড়া গ্রামের মৃত আবদুর রউফের ছেলে এবং ধর্ষণে সহায়তাকারী রাজিব মিয়া কালু (২২) চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত আবদুল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তর দুজনকে টাঙ্গাইল আদালতের মাঠ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুঠোফোনে ওই কিশোরীর সঙ্গে মোবারকের পরিচয় হয়। গত রোববার (১৪ এপ্রিল) উপজেলার ভারড়া বাজারে বৈশাখী মেলায় বেড়াতে এলে মোবারক কৌশলে তার বন্ধু কালুর বাড়ি চৌবাড়িয়াতে বেড়াতে নিয়ে যায়।
এ সময় কালু মোবারক ও ওই কিশোরীকে ঘরের রেখে বাইরে থেকে শিকল দিয়ে চলে যায়। পরে রাতে মোবারক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরদিন সোমবার সকালে কালুর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে কিশোরীকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘোরাফেরা করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে উপজেলার শেখ শামসুল হক সেতুর ওপর রেখে মোবারক ও কালু পালিয়ে যায়।
এ সময় ধর্ষণের শিকার কিশোরী মুঠোফোনে তার বড় বোনকে জানালে তারা সেতু এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে কালুর বাড়িতে গিয়ে গতকাল সোমবার কিশোরীর বাবা বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানালে তারা মোবারক ও কালুকে ডেকে জিজ্ঞেস করলে ধর্ষণের কথা তারা স্বীকার করে। এ সময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ওসি আলম চাঁদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি