মাহমুদুল হাসান চৌহালী(সিরাজগঞ্জ) ০৩ এপ্রিল-২০১৯,বুধবার।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বিনানই গ্রামে ভুমিহীন রেনু বেগম(৩৮) কে মারপিট, সুকৌশলে বিবাহ করার ঘটনায় এলাকায় আলোরন সৃষ্টি হয়েছে। চরসলিমাবাদ দাখিল মাদ্রাসা সহ-সুপারের অপকর্মে স্বামীর স্বীকৃতি চান রেনু বেগম । এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৬ মার্চ সকালে ভিটটিমের বাড়ী। রেনু বেগম জানান, চরসলিমাবাদ (বর্তমান বিনানই) গ্রামের মৃত জয়েদ আলী ফকিরের ছেলে আবু মুছা চরসলিমাবাদ মুসলিমিয়া মাদ্রাসার সহ-সুপার আমার মোবাইল ফোনে বারবার কল করে আমাকে আপত্তিকর কথা ও কু-প্রস্তাব করিতে থাকে। আমি কু-প্রস্তাব অস্বীকার করিতে থাকি কিন্তু এহেনো ঘটনা জানাজানি হলে আবু মুছার ছেলে মুরাদ হোসেন, তার স্ত্রী ও মেয়ে আমার বাড়ীতে এসে আমাকে মারপিট করিয়া অচেতন করিয়া ফেলে। পাশের বাড়ির লোকজন আমাকে উদ্ধার করে আমার বাবাকে সংবাদ দেয়, তারা আমাকে টাংগাইল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পরলে মুছা ও শিক্ষক সুফিয়ান আমাকে দেখতে আসে এবং ভাল চিকিৎসার নামে আমাকে ১৮ মার্চ জজ কোট টাঙ্গাইল নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে ১ম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আমাকে ২য় বিবাহ করে এবং কাজির মাধ্যমে ২লক্ষ টাকা কাবিন করে যার বলিয়াম নং ০২/১৯, পৃঃ ৮১ আমি অসুস্থ থাকা অবস্থায় আমার সাক্ষর নেয়। পরে আমাকে টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে আবু সুফিয়ান এর বাড়ি নাগরপুরে নিয়ে আসে। তারপর আমার কোন খোজ খবর না নিয়ে নানা রকম তালবাহনা শুরু করে। আমি কোন কুলকিনারা না দেখে বৃদ্ধ বাবার বাড়ি আসি এবং আইনের আশ্রায় নেই। আমার স্বামীর স্বীকৃতি চাহিয়া আবু মুছা, আবু সুফিয়ান, মরাদকে আসামী করে ১লা এপ্রিল ৭নং বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষধে মামলা করি। আমার ঘটনা স্বাক্ষী সততা প্রমান করবে। আমি আইনকে শ্রদ্ধা জানাই এবং ন্যায় বিচার দাবি করি। আবু মুছার সাথে মুঠোফোনে যোগাযো করা হলে কাকে পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসার সুপার জানান, আবু মুছার বিরুদ্ধে নারী কেলেস্কারীতে জরিয়ে পরার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তিন মাসের জন্য পাঠদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এলাকা সৃত্রে জানা যায়, মুছার অপকর্মের কারণে শ্বশুর তার বাড়ী বিনানই গ্রামে এসে ষ্টক করে মারা যায় এবং মাদ্রাসায় সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান।
(প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বলেন, অপকর্মের সাথে জরিত তাদের মাধ্যমে আমাদেও পাঠদান বিরত রাখতে চাই, যেকোন মুহুর্তে আমাদের ওপর আক্রামন করতে পারে বলে অভিযোগ করেন। এঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের অব্যহতি দেয়া দরকার)
কালের কাগজ/প্রতিবেদক/জা.উ.ভি