কালের কাগজ ডেস্ক:২৫ মার্চ -২০২০,বুধবার।
সরকারের দেয়া শর্তের ভিত্তিতে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেয়ে গুলশানে নিজ বাসভবনে ফিরে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থেকে মুক্তি পান তিনি।
দীর্ঘ দুই বছর দেড় মাস (৭৭৫ দিন) কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন বিএনপি প্রধান। বিকাল ৪টার দিকে খালেদা জিয়াকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেয়া হয়। পরে হাসপাতাল থেকে নিজের ব্যবহৃত গাড়িতে উঠে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দিকে রওনা হন খালেদা জিয়া।
এর আগে বুধবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে খালেদা জিয়াকে নিতে হাসপাতালে যান তার ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন বেগম সেলিনা ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়াকে নেয়ার জন্য হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয় তার ব্যবহার্য গাড়িটিসহ কয়েকটি গাড়ি ও তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়া আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাড়া পাবেন।
খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার বিষয়ে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার। এদিন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক তার বাসায় সংবাদ ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান। এ সংক্রান্ত সুপারিশ করে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
মুক্তি পেলেও খালেদা জিয়াকে বেশকিছু শর্ত পালন করতে হবে উল্লেখ করে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ঢাকায় নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে। এই সময় দেশের বাইরে গমন না করার শর্তে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি।’
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেন, মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি তার ছোট ভাইয়ের জিম্মায় থাকবেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ আইজি প্রিজনের কাছে পৌঁছায়। সেখান থেকে এটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের কাছে যায়। পরে জেল সুপার ওই আদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যান।