কালের কাগজ ডেস্ক:২৪মাচ,শনিবার।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বিএনপিকে উঠে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন। আর তা না করতে পারলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এদিকে দুদুর বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনীতিতে চমক সৃষ্টির যে মিথ্যা আশ্বাসের পাঁয়তারা চলছে সেটির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দুদু। যে বিএনপি বিগত এক দশকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সেই বিএনপির পুনর্জাগরণ নিয়ে নেতারা যে দিবাস্বপ্ন দেখছেন তা ভেঙ্গে যাবে।
এছাড়া কৃষকদলের কমিটিতে জায়গা পাওয়া দুদু আগামী কাউন্সিলে মহাসচিবের দৌড়ে টিকে থাকতে এমন গায়েবী আন্দোলনের ডাক দিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বলেও মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।
দুদুর আস্ফালনকে ‘সূর্যের চেয়ে বালুর তেজ বেশি’ বলে মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে তারেক রহমানকে খুশি করতে মজেছেন। তারেক রহমান লন্ডনে বসে তার মায়ের মুক্তির ব্যাপারে খুব বেশি তৎপর না হলেও দেশের নেতারা যেন এক মুহূর্ত বেগম জিয়াকে জেলখানায় রাখতে নারাজ।
তিনি আরো বলেন, নেতাদের বক্তব্যের জেরে বেগম জিয়া ও তারেক রহমান খুশি হলেও প্রকৃত বিএনপির আদর্শের ধারক-বাহকরা কিন্তু চরম বিরক্ত। মূলত বিএনপির রাজনীতিতে দুটি ধারা বহমান। একটি পক্ষ বেগম জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপিকে ধুঁকে ধুঁকে বয়ে বেড়াতে চায়, আর অন্য পক্ষটি বেগম জিয়ার মুক্তির পক্ষে। প্রথম পক্ষটি বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি নিয়ে রাজনীতি করে মূলত পদের আশা করছে। এগুলো ঘৃণ্য রাজনীতির অংশ মাত্র।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ম্যাডাম জিয়ার মুক্তি চেয়ে আমি কোন অপরাধ করিনি। আমি কোন পদের আশায় নয় বরং নেতা-কর্মীদের মনের ভাষা বুঝেই আমি বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছি। বরং দলের ভেতরের কিছু নেতা এমন আজেবাজে কথা রটাচ্ছেন। তারা কিছু করতে না পারার জ্বালা থেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। বিএনপিকে টিকে থাকতে হলে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই। কে কি বলবে তাতে কান না দিয়ে আমি নেতা-কর্মীদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি।