মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:২৫ সেপ্টেম্বর-২০২২,রবিবার।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে স্বামীর ফোনের ২ ঘন্টা পর আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী। শনিবার বিকেলে উপজেলা ডুবাইল ইউনিয়নের কোপাখি গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন বছর পূর্বে কোপাখি গ্রামের মো. কাসেম মিয়ার মেয়ে ফাতেমার (২২) বিয়ে হয় টাংগাইল শহরের কালিবাড়ি এলাকার হিরা সুপার মার্কেটের চতুর্থ তলার একটি ফ্লাটের মালিক শাকিল তালুকদারের ছেলে জায়েদ তালুকদারের সঙ্গে। শনিবার বেলা ২ টার দিকে জায়েদ তালুকদার তার শশুর বাড়িতে থাকা স্ত্রী ফাতেমাকে ফোন দেয়। এর ২ ঘন্টা পর শোবার ঘরের বারান্দার চালের রোয়ার সঙ্গে ঝুলে ফাতেমা আতœহত্যা করেন। ফাতেমার মা জিয়াসমিন বেগম বলেন, ২ মাস আগে দুইদিন না খাওয়া মেয়েকে তার শাশুড়ি আমাদের বাড়ির রাস্তায় রেখে চলে যায়। কোলের ২ বছরের শিশুকে নিয়ে সে আমার বাড়িতে আসে। এর পর থেকে স্বামী-শশুর-শাশুড়ি কেউ খোঁজ নেয়নি। এমনকি কোনো খরচ পত্রও দেয়নি। বৃহস্পতিবার আচমকা জায়েদ এসে বলে ফাতেমাকে নিতে এসেছি। পরে সে তার পিতার সঙ্গে ফোনে কথা বলে ফাতেমাকে রেখে চলে যায়। শনিবার ২ টার দিকে জায়েদ ফাতেমাকে ফোন দেয়। ফোনে তারা কি কথা বলেছে জানিনা। আমাদের অনুপস্থিতিতে এর ২ ঘন্টা পর ফাতেমা ফাঁসিতে ঝুলে আতœহত্যা করে। আমার বিশ^াস ফাতেমাকে আতœহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে স্বামী জায়েদ। ফাতেমার বাবা মো. কাসেম মিয়া বলেন, বিয়ের পর জানতে পারি ছেলে বখাটে, নেশাখোর। নেশার টাকা যোগাতে বিয়ের সময় মেয়েকে দেয়া ১ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার জোরপূর্বক বিক্রি করতে চেয়েছিলো। মেয়ে দেয়নি বলে তাকে ওই সময় শারিরীক নির্যাতন করে স্বামী জায়েদ। আতœহত্যার খবর দেওয়া হলেও জায়েদ ও তার পারিবার লাশ দেখতে পর্যন্ত আসেনি। বরং জায়েদের বাবা বলেছে আপনারা মেরে আমাদের ফাঁসাতে চেয়েছেন। দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাংগাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।