কালের কাগজ ডেস্ক:০৩ এপ্রিল ২০১৯,বুধবার।
দেশে বেকার সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বেকার সমস্যার দেশে বড় আকার ধারণ করলেও সেই সমস্যারও সমাধানে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। বেকার সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গত দশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেশ কিছু বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। যার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজে নিয়োগ দিচ্ছে তারা। কারণ একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই পারে দেশের বিভিন্ন ধরণের সমস্যাকে সহজতর ভাবে সমাধানের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
আর এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন দেশে কোনো বেকার তরুণ থাকবে না। এছাড়াও তিনি এও বলেছেন, বেকারত্ব দূর করতে বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার।
বুধবার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্প কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর কাজের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সে ১১টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন, ১৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ১৬টি বাণিজ্যিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রম, ২০টি শিল্প কারখানার ভিত্তিস্থাপন ও পাঁচটি চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সব কাজের মূল লক্ষ্যটা হচ্ছে কর্মসংস্থান। আমার দেশের কোনো তরুণ বেকার থাকবে না। তারা ট্রেনিং পাবে, পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। বহুমুখী শিক্ষা, আমাদের প্রয়োজনীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমরা বিষয়ভিত্তিক করে দিচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ফসলি জমি নষ্ট না করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আমাদের জমির স্বল্পতা আছে। আমাদের খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। কৃষি জমি বাঁচাতে হবে। ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। ফসলি জমি আমি নেবো না। আমাদের শিল্পায়ন যেমন দরকার তেমন-ই কৃষি জমিও লাগবে। মিরসরাই ইকোনমিক জোন চরাঞ্চলে হচ্ছে। সেখানে কোনো ফসলি জমি নেয়া হয়নি। ভবিষ্যতেও কোনো কার্যক্রমে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না।
শিল্পায়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষির পাশাপাশি শিল্পায়ন একান্তভাবে প্রয়োজন। শিল্পায়ন ছাড়া একটা দেশ কখনো উন্নয়ন হয় না। আমাদের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কিন্তু সেই কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে কৃষি আমাদের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে আমাদের শিল্পায়নও প্রয়োজন। সে কথা চিন্তা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা সারা বাংলাদেশে ১০০টা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলব। যেখানে দেশি-বিদেশি সব ধরনের বিনিয়োগ হবে।’
‘শিল্পায়ন কোথায় হবে, কীভাবে হবে সেই জায়গা আমরা ঠিক করে দেব। যত্রতত্র আমার কৃষিজমি নষ্ট হবে না। তিন ফসলের জমি সেগুলো নষ্ট হবে না। আমরা গবেষণা করে করে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো শুরু করেছি। বাংলাদেশকে আমাদের ক্ষুধামুক্ত করতে হবে, দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন আমাদের বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আমাদের দেশটা যেকোনো সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক সময় আমাদের ফসল নষ্ট হয়।