Logo
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

দৌলতপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ । এডিপির দেড় কোটি টাকার উন্নয়ন ভেস্তে যেতে বসেছে

রিপোর্টার / ২৫ বার
আপডেট শনিবার, ৬ জুন, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:০৬ জুন-২০২০,শনিবার।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম রাজার বিরুদ্ধে অনিয়ম,ক্ষমতার অপব্যবহার,সেচ্ছা চারিতা,উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে দুব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে । উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের  অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় ভেস্তে যেতে বসেছে প্রায় দেড় কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো: ফজলুর রহমান তালুকদার গত ৩১/০৫/২০২০ ইং তারিখে স্বারক নং ৪৬.০২.৫৬১০.০০০.৩১.০০২.১৬-২৮৪/১(৬) স্থানীয় সরকার বিভাগ মানিকগঞ্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ২০১৯-২০ অর্থবছরে ওই উপজেলায় চার কিস্তিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১ কোটি ১৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়।

বরাদ্দের অনুকুলে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে বিলম্বে প্রকল্প গ্রহন করিয়া গত ১৬/০৩/২০২০ ইং তারিখে একটি বাছাই কমিটির মিটিং কাগজে কলমে দেখান কিন্তু রেজুলেশন ছাড়াই একটি স্কীম তালিকা প্রস্তুত করেন কিন্তু চুড়ান্ত করেন নাই। উপজেলা চেয়ারম্যান উক্ত স্কীম তালিকা থেকে বারবার স্কীম কর্তন ও সংযুক্ত করতে থাকেন।

গত ০৩/০৫/২০২০ইং তারিখে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য দৌলতপুরে আগমন করে জানতে পারেন এডিপি প্রকল্প চুড়ান্ত করা হয়নি এনিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পরে গত ১৪/০৫/২০ ইং তারিখে প্রকল্প যাচাই বাচাই কমিটির মিটিং অনুষ্ঠিত হয় যাহা গত ১৬/০৩/২০ইং তারিখে যাচাই কমিটির মিটিং হিসাবে দেখানো হয় । তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ব্যাক ডেটে ইউপি চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর প্রদানে বাধ্য করেন।

গত ১৯/০৩/২০ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় এডিপির স্কীম যাচাই বাচাই সংক্রান্ত অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন উপজেলা প্রকৌশলী।

এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী অরো অভিযোগ করেন,গত ২০/০২/২০ ইং তারিখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল নির্মাণ ও উপজেলা পরিষদের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ সংক্রান্ত নতি স্বাক্ষর করাতে গেলে ফাইল রেখে দেন । পরে ফাইল স্বাক্ষর না করে তিন চার মাস পর নতি ফেরত পাঠান । ফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে মানিকগঞ্জ জেলার সব উপজেলায় এক সাথে ২০২৯-২০২০ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় । প্রকল্প ও স্কীম প্রহন করে যথা সময় টেন্ডার আহবানের মাধ্যমে কাজ শুরুর পর্যায়ে রয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলায় ২০২৯-২০২০ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের চার কিস্তিতে (১৯.৬৩-৪)=৭৮.৫২ লক্ষ এবং রাজস্ব উধৃত্ত ৪০.৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায় ।

যথা সময় প্রকল্প গ্রহন করে টেন্ডার আহবানের মাধ্যমে জুন মাসের মধ্যে কাজ বাস্তবায়ন করার নীতি মালা থাকলেও সময় মতো স্কীম প্রকল্প গ্রহন না করায় টাকা ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে দৌলতপুর উপজেলাবাসী উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা রয়েছে ।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিভিন্ন কমিটির সভাপতি হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মাসের পর মাস আটকিয়ে ক্ষমতার অপব্যাহার,সেচ্ছা চারিতার ফলে সরকারের উন্নয়ন মুলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে ।

এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম রাজার সাথে একাধিক বার কথা হলে তিনি কিছুই না বলে এড়িয়ে যান ।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা মোস্তারী জানান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এব্যাপারে অফিসিয়ালি আমাকে কিছুই জানানো হয়নি।

এব্যাপারে মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ফৌজিয়া খান জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর এক পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com