মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ১০ এপ্রিল-২০১৯,বুধবার।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে মানসিক প্রতিবন্ধী ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধষর্ণের অভিযোগে আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি গণপিটুনির শিকার হয়েছে। তাকে পুলিশ পাহারায় দৌলতপুর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই সন্তানের জনক আব্দুর রহিম উপজেলার চরকাচারী শিকদার পাড়া গ্রামের রহম আলী মোল্লার ছেলে।
ধর্ষিতা কিশোরীর বড় বোন দৈনিক কালের কাগজকে জানান, তার বোন জন্মের পর থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী । মঙ্গলবার দুপুর ১ টার দিকে তার বোন প্রতিবেশী ফজর সেক এর বাড়ীতে যায়। ওই বাড়িতে ফজর সেক এর শ্যালক আব্দুর রহিম তার বোনকে কৌশলে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে । ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য আব্দুর রহিম তার বোনকে ২০ টাকা দেয়। এর পর তার বোন হাতে ২০ টাকা নিয়ে কান্নাকাটি করতে করতে বাড়িতে আসে। কান্নাকাটির কারণ ও হাতে ২০ টাকা কোথায় পেল জিজ্ঞাসা করলে তার বোন সব কিছু খুলে বলে। সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি তার বাবাকে জানানো হয়। এর পর তার বাবা বিষয়টি স্থানীয় মাতবরসহ গ্রামের লোকজনের কাছে খুলে বলেন। গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে আব্দুর রহিমকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে আসে। গ্রামের লোকজনের সামনে আব্দুর রহিম ধর্ষণের ঘটনা শিকার করে। এর পর উত্তেজিত লোকজন আব্দুর রহিমকে গণপিটুনি দেয়। পরে তার স্বজনরা তাকে দৌলতপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রহিম দৈনিক কালের কাগজকে জানান, তাকে গ্রামের লোকজন কেন মারধর করেছে সেটা তিনি জানেন না। প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে তিনি ধর্ষণ করেন নাই বলে তিনি দাবি করেছেন।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার দৈনিক কালের কাগজকে জানান, বুধবার সকালে ধর্ষণের ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এর পর নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসামী আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি