একেএম কামাল উদ্দিন টগর   নওগাঁ প্রতিনিধি :১৪ মার্চ-২০২০,শনিবার।

নওগাঁ’র মান্দা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে সরকার দলীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের অত্যাচারে তার আপন ভইয়ের পরিবার অতিষ্ট হয়ে বিপর্যস্ত জীবনযাপন করছেন। উক্ত চেয়ারম্যান এবং তার লোকজন হুমকী ধামকী, বিদ্যুতের তার কেটে দেয়া, বাড়ি থেকে বের হতে না দেয়সহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালিয়ে আসছে। অবশেষে চেয়ারম্যানের দুই ছেলে এবং ড্রাইভার মিলে সংঘবদ্ধভাবে প্রতিপক্ষ পিতা ও পুত্রকে মারপিট করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেচকাজে ব্যবহৃত একটি গভীর নলকুপকে কেন্দ্র করে তাদের পারিবারিক এই দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালিয়ে জারা গেছে মান্দা উপজেলার গণেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ উদ্দিনের বড় ভাই খোদাবক্স মন্ডল নিজ গ্রাম সৈয়দপুরে একটি ডিপ টিউবওয়েলের অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অতিসম্প্রতি চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ উদ্দিন উক্ত ডিপ টিউবওয়েলটি তার নিজ ছেলেদের নামে করে দিতে বলেন। কিন্তু তা না করায় তাদের মধ্যে শত্রুতা চরমে পৌঁছেছে।

এরই জের ধরে আওয়ামীলীগ নেতা উক্ত চেয়াম্যান তার ভাই খোদাবক্স এবং তার ছেলে ও পুত্রবধুদের বাড়ি থেকে বের হতে বিঘœ সৃষ্টি করছে। ইসলামী ব্যাংকের একটি এজেন্ট শাখায় কর্মরত তার ছোট ছেলের স্ত্রী সুমাইয়া আকতার আশা অফিসে যেতে থাকলে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং উত্যক্ত করে। পরিবারের কোন সদস্য বাড়ি খেকে বের হলে একইভাবে গালিগালাজ এবং উত্যক্ত করে থাকে।

এই ঘটনার জের ধরে রাতের অন্ধকারে তাদের মুরগীর খামারের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে খামারের প্রায় ৫০টি মুরগী মারা গেছে। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয় হয়েছে। নানা ভাবে এ পরিবারের সদস্যদের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্থ করে জীবনযাত্রা বিঘিœত করে তুলেছে।

এরই এক পর্যায়ে গত ১২ মার্চ সকালে উক্ত চেয়ারম্যানের ড্রাইভার শহিদুল, তার দুই ছেলে রাসেল ও আল ইমরান সংবদ্ধভাবে চেয়ারম্যানের বড় ভাই খোদাবক্স মন্ডল এবং তার বড় ছেলে শাহরিল হোসেন রান্টুকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে আহত অবস্থায় তাদের মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ব্যপারে মান্দা থানার অফিসার ইউসুফ ঘটানস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এই ঘটনায় মামলা দাখিল করতে চাইলে পুলিশ রহস্যজনকভাবে সে মামলা গ্রহন করতে অস্বীকার করেছে। মান্দা থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন বলেছেন এটি সম্পূর্ন পারিবারিক ঘটনা। তওব বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন।#