আবু বকর সিদ্দিকী নাগরপু(টাঙ্গাইল) থেকে ঃ০৬ ফেব্রুয়ারী,বুধবার ।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঁদাদাবির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীরা জামিনে এসেই মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জামিনে বের হয়েই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আসামিরা। তারা ফের কবরাস্থানের জমি দখলে নেয়ার জন্য পায়তারা করছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। নাগরপুর থানায় দায়ের করা চাদাদাবির মামলার বাদী মো. সোনা মিয়া জানান, উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের শ্যামপুর মৌজায় ৭২ শতক জায়গার উপরে প্রায় শত বছরের একটি কবরস্থান রয়েছে। কবরাস্থানটির পাশেই মসজিদ ,মাদ্রাসা ও এতিমখানা নির্মানের উদ্দেশ্যে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয়। গত ৭ জানুয়ারী পুগলী গ্রামের বারেকের ছেলে বরকত,মঙ্গলের ছেলে জিন্নত, আবু তাহেরের ছেলে মিজানুর , সুজায়েত, মহরের ছেলে মোসলেম ও গিয়াসের ছেলে ফটিকের নেতৃত্বে এরা দলবদ্ধ হয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামীগন আমার পকেট থেকে জোর করে ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাকী ১লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ৭ দিনের মধ্যে দেয়ার জন্য হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি ভীত হয়ে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী ওই ছয় জনের নাম উল্লেখ করে নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে চাদাদাবির মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। এর মধ্যে আসামিরা জামিনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। আসামীগন মসজিদ মাদ্রাসা নির্মান কাজে বাধা দিয়ে জায়গাটি দখলে নেয়ারও পায়তারা করছে। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান জানান, মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর একজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করি। সকল আসামীরা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জামিনে আসে। হুমকির বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি