নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:১১ সেপ্টেম্বর-২০২২,রবিবার।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে কাগজ পত্রে মৃত দেখিয়ে এককালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন। সে উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের তরফরাম ঘুনিপাড় াগ্রামের মো. বদর উদ্দিন মিয়ার ছেলে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন দেশ স্বাধীনের পর দীর্ঘ দিন দেশে না থাকার সুযোগে একটি কুচক্রি মহল তার বাবাকে হাত করে এমন কাজ করেছেন বলে অভিযোগে জানা যায়। জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (্ইউএনও)বরাবর একটি অভিযোগ করেন।
ভূক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ডাকে বাংলার রাখাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য ঝাপিয়ে পড়েন। ৩০ লক্ষ শহিদের ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়। যারা নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেন। বর্তমান সরকার জাতির এই বীর সন্তানদের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানীত করেছেন। শুধু তাই নয় একটু স্বচ্ছল ভাবে জীবন যাপনের জন্য সরকার ভিবিন্ন ভাতা চালু করেছেন। সরকারের সেই উদ্দেশ্যকে ব্যহত করে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা উত্তোলন করছে একটি কুচক্রি মহল। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন (অবঃ) সেনা সদস্য তার গেজেট নং ৭০৮৪। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর মুক্তিযোদ্ধদের সমম্বিত তালিকায় ঢাকা বিভাগ টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় তার ক্রমিক নং ৫২১ ও পরিচিতি নম্বর ০১৯৩০০০৭৫৬৮। দীর্ঘ দিন চাকরীর সুবাদে দেশের বিভিন্ন জাগায় তার থাকতে হয়েছে। চাকরি শেষে সে তার মুক্তিাযোদ্ধার সনদ সহ সকল কাগজপত্র তার মায়ের কাছে রেখে ভারতে চলে যান । দীর্ঘ দিন পর বাড়ী ফিরে এসে তার চাকরীর ও মুক্তিযোদ্ধার সকল কাগজ পত্র খোজ করেন। বাড়ীর লোকজন সকল কাগজপত্র হারিয়ে গেছে বলে জানান। পরে তিনি জানতে পারেন তাকে মৃত দেখিয়ে তার পিতা বদর উদ্দিন প্রতারক চক্ররের সাথে হাতি মলিয়ে তার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলন করে আসছে।বয়সের কারনে সে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অবস্থায় বর্তমানে বেকড়া ইউনিয়নের মুশুরিয়া গ্রামে তার বোনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।