নাটোর প্রতিনিধি:১১ এপ্রিল ২০১৯,বৃহস্পতিবার।
নাটোরের লালপুরের ছাত্রলীগকর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন খান্নাস হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহম্মদ সাইফুর রহমান সিদ্দিক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন— লালপুরের বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে শুকুর হোসেন ওরফে বাবু, শহিদুল ইসলাম মাস্টারের দুই ছেলে শামীম হোসেন ও সুজন হোসেন এবং আব্দুল মালেকের ছেলে আব্দুল মতিন।
লালপুরের বাহাদুরপুর গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে সান্টু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন— লালপুর উপজেলার সাইপাড়া এলাকার আছান ড্রাইভারের ছেলে আলম, কচুয়া এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে কালু, কাবুল, কৃষ্ণরামপুর গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম, ইসমাইলের ছেলে বাবু, সাবুল, সুন্দর গাড়া গ্রামের নইব মন্ডলের ছেলে জেকের আলী, নওদাপাড়া এলাকার ছলিম উদ্দিনের রবিউল ইসলাম, শেরপাড়া এলাকার ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে আশরাফ আলী, খোশবার আলীর ছেলে ছইমুদ্দিন, বাহাদুরপুর গ্রামের সামছের আলীর ছেলে আদম আলী এবং কচুয়া গ্রামের অছিমুদ্দিনের ছেলে আলাল উদ্দিন ও আতাউর রহমান।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহযোগী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানান, অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নাটোরের লালপুর উপজেলার হাবিবপুর গ্রামে ছাত্রলীগকর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন খান্নাসকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা শুকুর মৃধা বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন তদন্ত শেষ করে ১৮ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এ ছাড়া এই মামলায় হামিদুল ইসলাম, আব্দুল খলিল, আব্দুল জলিল, ফারুক হোসেন এবং আবেদ আলীকে রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, ‘মামলায় অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় প্রত্যাশিত রায় পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে লড়ব।’
দীর্ঘ ১৭ বছর পর এই রায় দেয়া হলো। রায় ঘোষণার সময় আদালতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি