শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি :১৪ এপ্রিল-২০২০,মঙ্গলবার।
করোনা সংক্রমন রোধে এবার লকডাউন করা হয়েছে উত্তরের জেলা নীলফামারীকে। ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৯ এপ্রিল রাতে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তাতে লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়নি। আজ সেই গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে লকডাউন ঘোষণা করে মাইকে প্রচার করা হয়।
গণবিজ্ঞতিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলার অভ্যন্তর সকর যানবাহন, সাপ্তাহিক হাট বাজার, প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী পরিসেবা লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান, কৃষিপন্য ও যন্ত্রপাতির দোকান সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে। তবে ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক সার্বক্ষনিক খোলা থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল জেলার কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলায় একজন করে এবং আজ নীলফামারী সদরে ও ডিমলা উপজেলায় আরও ১ জন করে মোট ৬ জনের শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, গত ৯ এপ্রিল থেকে জেলা লকডাউন করা হয়েছে। তবে মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয় সেজন্য সেদিন ঘোষণা দেয়া হয়নি তবে লকডাউনের যা প্রক্রিয়া সেদিন থেকে সব নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) কাঁপছে পুরো বিশ্ব। অদৃশ্য এই ভাইরাস ঠেকাতে মরিয়া সারা দুনিয়া। এ মহামারি ভাইরাস সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে।
এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৪ জন। মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৬৭ জন। তিন মাসেও প্রাণঘাতী এ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের লক্ষণ নেই। ইতিমধ্যে করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারাবিশ্ব।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মৃত্যুর মিছিল সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। বাংলাদেশের মানুষের এ ভয়ঙ্কর ভাইরাস থেকে রাক্ষা পেতে যেমন প্রয়োজন নিরাপদে ঘরের মধ্যে অবস্থান। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণে নীলফামারী জেলাকে লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে।