চন্দন চক্রবর্তী, স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা :০৬ নভেম্বর-২০২২,রবিবার।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরের কুল্লগড়া ইউনিয়নের ছনগড়া গ্রামের আদিবাসী শিক্ষার্থী শিলা হাজং পরীক্ষা দেয়ার নিশ্চয়তা পেল। রোববার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশ শিক্ষার্থীর হাতে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন। অর্থের অভারে তার নার্সিং ইন্সিটিউশনের পরীক্ষা দেয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল।
জানা গেছে, তিন বছরের বেতন ও হোষ্টেল ভাড়ার বকেয়া প্রায় দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পরীক্ষা দেয়া অনিশ্চিয়তা দেখা দেয় ময়মনসিংহ শহরের ব্রাম্মপল্লীর স্কলার নার্সিং ইন্সিটিউশনের শিক্ষার্থী শিলা হাজংয়ের। সে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ছনগড়া গ্রাামের রবীন্দ্র্র হাজংয়ের মেয়ে। বেসরকারি ওই স্কলার নার্সিং ইন্সিটিউশনের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শিলা হাজং। অর্থাভাবে তার পরীক্ষা দেয়ার অনিশ্চয়তার নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে দৃষ্টি পড়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের। তিনি দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখার নির্দেশ দেন এবং শিক্ষার্থীকে নিয়ে তার সাথে দেখা করার কথা বলেন। এরই প্রেক্ষিত দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজিব উল আহসান শিলা হাজংকে নিয়ে রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে যান। পরে জেলা প্রশাসক ওই শিক্ষার্থীকে বুকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার হাতে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
এ সময় অন্যানোর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনির হোসেন, দুর্গাপুর ইউএনও মোহাম্মদ রাজিব উল আহসান, সদর ইউএনও মাহমুদা আক্তার প্রমুখ।
শিলা হাজং বলেন, আমি কথা বলার ভাষা খোঁজে পাচ্ছি না। জেলা প্রশাসক স্যারকে আমার ধন্যবাদ দেওয়ার মত কোন ভাষা নেই। তিনি আমাদের কাছে ঈশ^রের মত হয়ে এসেছেন। এই টাকা না পেলে আমার পরীক্ষা দেয়া হতো না। আমি উনার এই মহানুবভতার কথা জীবনভর মনে রাখব।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, দুর্গাপুরের শিক্ষার্থী শিলা হাজং অর্থের অভাবে পরীক্ষা দিতে পারবে না। বিষয়টি জানতে পেরে দুর্গাপুর ইউএনওকে খোঁজ নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসার জন্য বলেছিলাম। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ লাখ ও দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষার যাবতীয় খরচ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বহন করা হবে।