চন্দন চক্রবর্তী, স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা :০৬ নভেম্বর-২০২২,রবিবার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমানে বিশ^মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত সুখী ও সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১লা ডিসেম্বর নেত্রকোনা জেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক হতে চান জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি প্রশান্ত কুমার রায়।
জানা গেছে, জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায় ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি ১৯৮৫ থেকে ৮৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক, ১৯৮৯ থেকে ৯১ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাবেক ছাত্রনেতা প্রশান্ত কুমার রায় ১৯৮৯ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কারাবরণ, ১৯৯১ সালে রাজপথে সক্রিয় নেতৃর্ত্বের কারনে কারাবরণ, ২০০১ সালে তত্তাবধায়ক সরকারের শাসনামলে দলীয় মিছিলে পুলিশের হামলা এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাবরণ করেন। ২০০৩ সালে চারদলীয় সরকারের সময়ে ময়মনসিংহ সিনেমা হলে বোমা হামলার মিথ্যা অভিযোগে প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান, সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রফেসর মুনতাসির মামুন এবং সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সাথে এক বছর ফাঁসির সেলে প্রশান্ত কুমার রায় অবরুদ্ধ ছিলেন। ২০০৭ সালে ১/১১ চলাকালীন নেত্রী গ্রেপ্তারের পরবর্তী সময়ে নেত্রকোনায় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের মিটিং মিছিলে তিনি অগ্রনী ভুমিকা রেখেছেন। জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় ২০১১ সালে নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রেখেছেন। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নেত্রকোনায় আ’লীগের ভীতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।