নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ-২১ জুলাই-২০২২,বৃহস্পতিবার।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শফিকুল ইসলাম (৪৫) হত্যার এক দিনের মাথায় পুলিশ হত্যা রহস্য উৎঘাটন করেছে। এ হত্যা কান্ডের মূল হোতা মোরশেদা আক্তার সহ তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একই সঙ্গে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত অটো-রিক্সা উদ্ধার করা হয়েছে। পরকিয়া প্রেমের কারনে হত্যা কান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এদিকে গ্রেফতার মোরশেদা আক্তার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবান বন্দি দিয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মানড়া নয়াপাড়া এলাকার কালভাটের নিচ থেকে শফিকুল ইসলামের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন এ ঘটনায় শফিকুলের স্ত্রী রাহেলা বেগম বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো: মনোয়ার হোসেন তথ্য প্রযুক্তি ও তদন্ত কৌশল কাজে লাগিয়ে এদিন রাতেই শফিকুল হত্যার মূল আসামী মোরশেদাকে পাকুটিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মোরশেদা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে জানান, নিহত শফিকুলের সাথে তার পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাতে শফিকুল মোরশেদার বাড়িতে এসে তাকে ডাকাডাকি করে। এসময় মোরশেদা শফিকুলকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বললে শফিকুল বিষ খেয়ে আত্ম-হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মোরশেদার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। সে সময় মোরশেদা তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে মুখে কাপড় পেচিয়ে শফিকুল কে হত্যা করে। পরে মোরশেদার দেবর অটো রিক্সা চালক বারেক ও কালা চান কে সাথে নিয়ে লাশ বস্তায় ভরে অটো যোগে কালভার্টের নিচে ফেলে দেয়।
মোরশেদার দেয়া তথ্য মতে হত্যা কান্ডে জড়িত অটো চালক মোরশেদার দেবর আব্দুল বারেক মিয়া কে গতকাল বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে অপর আসামী কালা চানকে নাগরপুরের কেদারপুর থেকে পুলিশ গ্রেতার করে।