নিজস্ব প্রতিবেদক: ১১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নের আবেদন বাতিল, মন্দিরের সামনে জাকের পার্টির ক্যাম্প স্থাপন করে ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, সংখ্যালঘু -নির্যাতন, মন্দির ভাংচুর,ভূমিদস্যুতাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে লিখিত আবেদন করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় শীলপাড়া সার্বজনীন মন্দির কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমথ চন্দ্র শীল জেলা আ’লীগের অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুর রহিম খানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগে সুত্রে জানা গেছে,গত ২০১৭সালের ২৯ অক্টোবর আব্দুর রহিম খান তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শীলপাড়া মন্দির ভাংচুর করে ও প্রতিমা নদীতে ফেলে দেয়।ভাংচুরের পর মন্দিরের যাবতীয় মালামাল জোড়পুর্বক গাড়ীতে তুলে নেয়ার সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে। এ ব্যাপারে মামলা হলে মামলার প্রধান আসামী পলাতক থাকাবস্থায় আব্দুর রহিম খান উচ্চ আদালতের স্মরনাপন্ন হন।
বিষয়টির বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও মিডিয়ায় মন্দিরের জায়গা দখল- ভাংচুরের সংবাদ প্রকাশিত হলে- বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার জন্য মন্দিরের ওই জায়গাটি হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিলেও তা ছিল উদ্দেশ্যপ্রনীত।
বর্তমানে মামলাটি চলমান থাকলেও অদ্যবধি তিনি তার প্রতিশ্রুতি রাখেননি।বরং মন্দিরের সামনে জাকের পাটির গরু রাখার ক্যাম্প স্থাপন করে ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেই যাচ্ছেন ওই আ’লীগ নেতা।
এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমথ চন্দ্র শীল জানান,ওই নেতা মন্দির দখলের ব্যাপারে এখনও পায়তারা করছে। মন্দির থেকে বের হওয়ার রাস্তা, ক্ষতিপুরন এবং জায়গা কোনটার প্রতিশ্রুতিই তিনি রক্ষা করেননি।এছাড়াও,রহিম খানের বিরুদ্ধে রয়েছে নানাবিধ নারী কেলেঙ্কারী,ভূমিদস্যুতা-জবড়দখলের অভিযোগ।তিনি বিএনপি জামায়াত জাকের পার্টির সাথে সমন্বয়কারী এমন নেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে বিশ্ব মানবতার মা হিসাবে খ্যাত,উন্নয়নের রোল মডেল,প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি জোড় দাবী জানান।
উল্লেখ্য,২০০৯সালের নভেম্বর মাসে দলীয় নীতিমালা ভঙ্গ,অনিয়ম দুর্নীতি ও অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জনের কারনে জেলা জাকের পার্টির পদ হতে তাকে অব্যাহতি দেয়ার পর ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক পদে আসীন হন।
জেলা আ’লীগ নেতা হয়েও জাকের পার্টির পৃষ্ঠপোষকতা করার বিষয়টি স্থানীয় নেতাকর্মীসহ সকল মহলে উঠেছে আলোচনার ঝড়।
কালের কাগজ/প্রতিবেদক/জা.উ.ভি