সজীব হাসান , (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ০২ জুলাই-২০২২,শনিবার।
বগুড়ার শেরপুরে বসতবাড়িতে ডেকে এনে জোরপূর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় মন্টু মিয়া (৩৮) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১২’র সদস্যরা। শনিবার (০২জুলাই) দুপুরে র্যাবের বগুড়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। র্যাব সূত্রে জানা যায় শুক্রবার (০১জুলাই) রাতে উপজেলা সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসঙ্গে তাকে শেরপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মন্টু মিয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। অভিযোগে জানা যায়, বিগত ১৫জুন উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আমিন গ্রামের দবির উদ্দীনের স্ত্রীকে একই গ্রামের লম্পট মন্টু মিয়া কৌশলে বসতবাড়িতে ডেকে আনে। এরপর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। কিন্তু রাজী না হওয়ায় ওই গৃহবধূকে ভয়ভীতিসহ হুমকি-ধামকি দেন যুবক মন্টু মিয়া। এমনকি বসতবাড়ির নিজ শয়নকক্ষে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন। এসময় কৌশলে লম্পট মন্টু মিয়া পালিয়ে যান। এই ঘটনায় পরদিন ১৬জুন ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদি হয়ে শেরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৮। কিন্তু মামলা হওয়ার বেশকয়েকদিন পার হলেও রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার হচ্ছিলেন না ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মন্টু মিয়া। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী এই নারী র্যাবের বগুড়া ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। র্যাবের বগুড়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার পর ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত মন্টু মিয়াকে ধরতে র্যাবের সদস্যরা গোয়েন্দা তৎপরতা চালান। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (০১জুলাই) উপজেলা সদরে সম্ভাব্য একাধিক স্থানে অভিযান চালান র্যাব সদস্যরা। একপর্যায়ে তাকে ধরে শেরপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাস এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার ধর্ষণ মামলার আসামিকে শনিবার দুপুরের পর বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।