Logo
ব্রেকিং :
মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)র অভিযানে হেরোইন ও ইয়াবাসহ ২জন গ্রেফতার দৌলতপুরে স্বাধীনতা দিবসে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় পিআইওসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায়  ন্যাশনাল ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত টাঙ্গাইলে জাতীয়তাবাদী “জিয়া প্রজন্মদল” এর কমিটি গঠণ নেত্রকোনায় জেলা রাজস্ব সম্মেলন নেত্রকোনায় প্রশাসনের চারজন কর্মচারীর বিদায়ী সংবর্ধনা চৌহালীতে  নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী  পালন  নেত্রকোনায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের ট্যাবলেট বিতরন     নেত্রকোনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

ফরিদপুরে করোনা সন্দেহে নিজ উদ্যোগে কোয়ারেন্টাইনে ৩

রিপোর্টার / ২৫ বার
আপডেট বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০

কামরুল হাসান জুয়েল ফরিদপুর থেকে:১১ মার্চ-২০২০,বুধবার।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ফরিদপুরের তিন ব্যক্তিকে পারিবারিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা তিনজনই সম্প্রতি ইতালি থেকে ফিরেছেন।ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর জুতা পট্টি এলাকার মৃত মুন্সী আব্দুল হাকিম এর তিন পুত্র খোকন (৪৫), টোকন (৪০) ও মাসুদ রানা (৩৫)। এ ব্যাপারে ফরিদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, পরিস্থিতির অবনতি হলে ফরিদপুরে সরকারি উদ্যোগে পৃথক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হবে। ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, গত ২ মার্চ শহরের ঝিলটুলীর বাসিন্দা তিন ভাই ইতালি থেকে দেশে রওনা হয়ে ৩ মার্চ দেশে ফিরেন। গত সোমবার (৯ মার্চ) রাতে বিষয়টি তারা জানতে পারেন এবং মঙ্গলবার (১০ মার্চ) থেকে তারা তাদের নিজেদের উদ্যোগেই বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা নেন বলে ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান। সিভিল সার্জন জানান, ওই তিন ব্যক্তির পরিবার থেকে তাদের উদ্যোগেই স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কিংবা তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের লক্ষণও পাওয়া যায়নি। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সতর্কতামূলক পর্যবেক্ষণের জন্যই তারা তাদের বাসায় অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা না করে পৃথক রয়েছেন। ওই তিন ব্যক্তিকে একটি পৃথক রুমে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করে তাদের খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার জন্য কোনো পোশাক, গ্লাভস কিংবা মাস্ক সরবরাহ করতে পারেনি। তাদের কাছে এখনো এসব পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালে একটি পৃথক আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে। আর জেনারেল হাসপাতালে পাঁচটি শয্যা তৈরি রাখা হয়েছে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়েও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও সদরের বক্ষব্যাধী হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু করা হতে পারে। এর বাইরে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও কয়েকটি বেড পৃথক করে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিকে, মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফরিদপুরে একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে এবং তাকে ঢাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জেনে যোগাযোগ করা হলে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের একজন নার্স খবরটি নিশ্চিত করেন। তবে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন জানান, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার কাছে নেই। পরে ওই হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে তারাও বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান।


এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com