নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি ঃ২৫ জুলাই-২০১৯,বৃহস্পতিবার।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে পূনর্বাসন করবে সরকার। তিনি আরো বলেন, দূর্গত মানুষের প্রতি বর্তমান সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। কোন মানুষ যেন বন্যার সময় সুপেয় পানি, চিকিৎসা সেবা ও খাবারের অভাবে কষ্ট না পায় সে বিষয় মাথায় রেখেই সরকার বন্যার শুরু থেকেই দূর্গত মানুষের পাশে রয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খুলে সেখানে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপনাদের যাদের বাড়িতে বন্যার পানি উঠেছে তারা আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠুন।
তিনি বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিকেলে নৌ-পথে সলিমাবাদ ইউনিয়নের চরাঞ্চল পাইকশা মাইঝাইল ও চর ঘুণীপাড়া গ্রামের বন্যাদূর্গত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরনকালে এ কথা বলেন।
তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনারা ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবেলা করুন কারন আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আমরা চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে মেডিকেল টিম গঠন করে দিয়েছি।
নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা, মাইঝাইল, চর ঘুণীপাড়া এলাকার বন্যা দূর্গত এলাকার প্রতিটি পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল, শুকনো খাবার, খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধ করন ট্যাবলেট বিতরন করেন।
শেষে ৩ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা ইয়াসমিন ,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেগম শাহীন, সলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. দাউদুল ইসলাম দাউদ, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুজায়েত হোসেন প্রমূখ। উল্লেখ্য গত কয়েকদিনে যমুনা ধলেশ্বরী নদীর পানি অব্যাহত ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে নাগরপুর উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে রাস্তার পাশে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
কালের কাগজ/প্রতিনিথি/জা.উ.ভি