Logo
ব্রেকিং :
গোয়ালন্দে কৃষকের ধান কেটে দিলেন কৃষক লীগ সিংগাইরে ২৬০ পস ইয়াবাসহ গ্রেফতার-৫ মানিকগঞ্জ-২ আসনে আ:লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি টুলু কাজ করেই জনগণের পাশে থাকতে চান নগরকান্দায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী সহ ভাসুর আটক নেত্রকোনায় ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্ধোধন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মীনি অধ্যক্ষ কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা আর নেই চৌহালীতে যমুনা নদীর বামতীরে শির্ষক প্রকল্প উদ্বোধন  নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের এক বছর পূর্ন সৈয়দপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা, চালকের সহকারী নিহত  নগরকান্দায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বজনদের দাবী হত্যা
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়
বর্ষার আগেই যমুনার ভাঙনে বসত বাড়ি বিলীন আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ
এইচএম মোকাদ্দেস,সিরাজগঞ্জ স্ঠাফ রিপোর্টার :২৪ মে-২০২৩,বুধবার।

বর্ষা মৌসুমের আগেই সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে চৌহালী,এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়  তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মনগ্রাম ও আড়কান্দি গ্রামের প্রায় ৫০টি ঘর-বাড়ি ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্ষার সময় কী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদীপাড় ও চরাঞ্চলের মানুষের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সঠিক সময়ে স্পার বাঁধ এলাকা থেকে দক্ষিণ পাঁচিল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের কাজ শুরু না করায় খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়নের অন্তত ১০ গ্রামে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এদিকে, সহায় সম্বলহীন হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অনেকপরিবার। ভাঙ্গন আতংকে অনেকেই এখন ঘর বাড়ি ভেঙ্গে  অন্যত্র চলে যাচ্ছে। ভাঙ্গন কবলিতদের অহাজারি থামছেই না আরকান্দি গ্রামের ভাঙন কবলিত  আবু
বক্কার,নুরুল ইসলাম, গ্যাদন ও নুরুজ্জামান  বলেন, প্রায় ১০/১২ দিন আগে তাদের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে তারা এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ব্রাহ্মণ গ্রামের মনিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, হাসমত, সিদ্দিক, রউফ, মনতাজ, মোহাম্মদ আলী ও সুফিয়া খাতুনসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে এ অঞ্চলে যমুনার অব্যাহত ভাঙনে ব্রাহ্মণগ্রাম ও আরকান্দি গ্রামের অধিকাংশ অঞ্চলই নদীগর্ভে চলে গেছে। বছরের পর বছর ধরে ভাঙনে নদী তীরবর্তী মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। এদের অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। এতে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে । এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে বহু স্থাপনাসহ ঘর-বাড়ি। অনেক আন্দোলনের পর গত বছর এ অঞ্চলে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সাড়ে ৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পাউবোর গাফিলতি এবং উদাসীনতার কারনে ভাঙন থেকে  রক্ষা পাচ্ছে না এ জনপদের মানুষ। সাড়ে ৬শ কোটি টাকার কাজ চলছে, অথচ কোনো বস্তা ডাম্পিং কিংবা প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন,  দুই পাশে জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ চলমান রয়েছে এবং জিও টিউব সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়া ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। ভাঙন রোধের সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি চৌহালীতে আমাদের একটা প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। সেই প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু করা  হবে। #####

Tech Support By Nagorikit.Com