মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:২৮ সেপ্টেম্বর-২০২২,বুধবার।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের কাগমারী পাড়া গ্রামে সোমবার(২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে একমাত্র পুত্রবধূর বিরুদ্ধে শ্বাশুরিকে নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে। জমি লিখে না দেওয়ায় পুত্রবধূ আম্বিয়া বেগম(৩৫) তার শ্বাশুরি জহুরা বেগমকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নিহতের ভাই খোকন(৫৬)। জহুরা বেগম(৬০) ওই গ্রামের বেলায়েত হোসেন তালুকদারের স্ত্রী। জানা যায়, কাগমারী পাড়ার বেলায়েত হোসেন তালুকদার দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক। দুই মেয়েকে ভিন্ন স্থানে বিয়ে দিয়েছেন। একমাত্র ছেলে আব্দুল মান্নান কাতার প্রবাসী। বেলায়েত হোসেন তালুকদার প্রায় ৭ বিঘা সম্পত্তির মালিক। পুত্রবধূ আম্বিয়া বেগম শশুরের ওই সম্পত্তি তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। শশুর কিছুটা রাজি হলেও বৃদ্ধা জহুরা বেগম তাতে বাধা দেন। সোমবার(২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বেলায়েত হোসেন তালুকদার নামাজ পড়তে মসজিদে যান। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে তিনি জহুরা বেগমকে মৃত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। নিহতের ছোট ভাই খোকন মিয়া, বড় মেয়ের জামাতা আব্দুল লতিফ, শফিকুল ইসলাম দাবি করেন- জমি লিখে দিতে বাধা দেওয়ায় পুত্রবধূ আম্বিয়া বেগম অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে জহুরা বেগমকে হত্যা করেছে। প্রতিবেশিরা ধারণা করছেন, অজ্ঞাত কারণে শশুর বেলায়েত হোসেন তালুকদার পুত্রবধূ আম্বিয়া বেগমের নামে সম্পত্তি লিখে দিতে রাজি হয়েছিলেন। পুত্রবধূর সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক থাকাও বিচিত্র নয়। তা নাহলে ছেলেকে না জানিয়ে পুত্রবধূর নামে সম্পত্তি লিখে দিবেন কেন? তারা আরও জানান, থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারণে মরদেহের ময়নাতদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ উঠিয়ে টাঙ্গাইল নেওয়ার পথে পুলিশ বড় রাস্তায় উঠার আগেই ফিরিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। পুলিশ সাধারণ ডায়েরির কপিও তাদেরকে দিচ্ছেনা।
অলোয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ তালুকদার জানান, জমির বিষয় নিয়ে জহুরা বেগমকে তার পুত্রবধূ আম্বিয়া বেগম মাঝে মাধ্যেই শারীরিক নির্যাতন করতো। ঘটনার দিনও আম্বিয়া বেগম তার শাশুরি জহুরা বেগমের গলা টিপে ধরেছিলেন বলে শোনা যায়। ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ ওই নারীর মরদেহের ময়নাতদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। স্বামীর কোন অভিযোগ না থাকায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। স্বজনরা স্ব-উদ্যোগে জহুরা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।