মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:২৯ আগস্ট-২০২২,সোমবার।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৭ বছরের শিশু ফাতিমাকে হত্যা করেছে মা হাওয়া বেগম। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে মারা যাওয়ার নাটক সাজায় মা হাওয়া বেগম। রাগের মাথায় সে ফাতিমার গলা টিপে ধরে মেঝেতে ফেলে দিয়ে বাইরে চলে যায়। পরে ঘরে এসে মৃত্যু হয়েছে ভেবে গলায় গামছা পেঁচিয়ে রেখে আশপাশের লোকজন ডেকে আনে। স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ ও আদালতের কাছে এমনটাই স্বীকার করেছে হাওয়া বেগম। এদিকে ঘটনার দিন পুলিশ শিশুটির মা হাওয়া বেগমকে মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কথায় গরমিল পাওয়া যায়। পরে সে নিজ সন্তানকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হাওয়া বেগমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারজানা হাসনাত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার এসআই মোঃ আরফান খান জানান, নিজ সন্তান ফাতিমাকে হত্যার বিষয়ে মা হাওয়া বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারজানা হাসনাত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। বর্তমানে হাওয়া বেগম কারাগারে রয়েছেন। উল্লেখ্য, ২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভূঞাপুর উপজেলার দড়িপাড়া নিকলা গ্রামে মা হাওয়া বেগম কর্তৃক এ হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে খেলার ছলে গামছা পেঁচিয়ে ফাতিমার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। ফাতিমা ওই গ্রামের দুলাল হোসেনের ছোট মেয়ে। স্থানীয় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান দুলাল হোসেন।
৬.