নিজস্ব প্রতিবেদক : মার্চ ০৭, ২০১৯,বৃহস্পতিবার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, বর্তমান সরকার দেশের যুব সমাজকে মাদক ও সকল ধরনের নেশা হতে মুক্ত করার লক্ষ্যে বহুবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে জাতীয় পার্টির মো. মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মাদক সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন অব্যাহত আছে। এ নীতি বাস্তবায়নে একত্রে কাজ করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। গত বছরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩ জনকে আসামী করে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর উদ্ধার হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৯ হাজার ৩২৮টি ইয়াবা, ৪৫০ কেজি হিরোইন, ৬০ হাজার ৩৪৩ কেজি গাঁজা এবং ৭ রাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ বোতল ফেনসিডিল।
মন্ত্রী বলেন, মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ পর্যন্ত মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫টি ফলপ্রসু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধকল্পে মিয়ানমারের সঙ্গে ৩টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। দেশটিকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে টেকনাফে অধিদপ্তরের ১৪জন জনবল এবং আনসারসহ ২৪ জনবল বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী সার্কেল কাজ করছে। এটাকে স্থায়ী সার্কেলে রুপ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে টেকনাফ সীমান্তে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
কালের কাগজ/প্রতিবেদক/জা.উ.ভি