Logo
ব্রেকিং :
বিদ্যুৎ, গ্যাস’সহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি ও ১০দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে টাঙ্গাইলে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী কেন্দুয়ায় চাঞ্চল্যকর কাঠমিস্ত্রি খুনের প্রধান আসামী র্যাবের হাতের গ্রেফতার গোয়ালন্দে জাটকা সংরক্ষণে পদ্মায় নৌ  র‍্যালী ও জেলেদের শপথ সার্ভিক্যাল রোগে আক্রান্ত সাদিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন- দুর্জয় কেন্দুয়ায় হ্যান্ডট্রলির ধাক্কায় শিশুছাত্রের মৃত্যু দৌলতদিয়া পদ্মা নদীর তীর থেকে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার ভাইরাল কিংবা ভিউয়ের জন্য গান করি না— ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাজু এটি প্রথম আলোর ষড়যন্ত্র: হানিফ প্রতিনিয়ত পত্রিকাটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে : বিপ্লব বড়ুয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক সাংবাদিকদের মুক্তির দাবিতে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন
নোটিসঃ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : আলহাজ্ব এ.এম নাঈমূর রহমান দূর্জয় ,সম্পাদক ও প্রকাশক মো: জালাল উদ্দিন ভিকু,সহ-মফস্বল সম্পাদক মো: জাহিদ হাসান হৃদয়

মানিকগঞ্জের বাঘুটিয়া কে.এস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

রিপোর্টার / ২৩ বার
আপডেট সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৯

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: ২৯ জুলাই-২০১৯,সোমবার।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া কে,এস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ,দুর্নীতি ও বিদ্যালয়ের তহবিল তসরুপের অভিযোগ উঠেছে। আর এই অভিযোগ খোদ ম্যানেজিং কমিটির অধিকাংশ সদস্য ও শিক্ষকদের।
এদিকে সভাপতির বিরুদ্ধে পরিচালনা কমিটির ছয়জন সদস্য অনাস্থা এনেছেন। অভিযোগ রয়েছে, সভাপতির খামখেয়ালী পনার কারনে বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক,২জন অফিস সহকারী ও ২ জন পিয়নের ৬ মাসের অধিক সময় ধরে স্কুলের অংশের প্রাপ্য বেতন ভাতাদি পাচ্ছেন না। এছাড়া সম্প্রতি বিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ নিয়েও সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়নের অভিযোগ ও পক্ষপাতিত্বে অভিযোগ রয়েছে।
এহেন নানান অভিযোগ সম্পর্কে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ সায়েদুর রহমান মোল্লা জানান, বিদ্যালয়ের একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে নানান ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। যার কোন ভিত্তি নেই বলে তার দাবি।
সম্প্রতি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ সায়েদুর রহমান মোল্লার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে বিদ্যালয়ে গেলে অধিকাংশ শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের বেশীর ভাগ সদস্য এসব অভিযোগের সত্যতা স্বিকার করেন।
শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সচিব ও স্কুলে সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুনীল কুমার ভৌমিক সভাপতি সায়েদুর রহমান মোল্লার উপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন। প্রবীণ ওই শিক্ষক জানালেন, তাকে নামমাত্র নিয়োগ কমিটির সচিব করা হয়েছে। তার মতামতের কোন গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন। সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুনীল কুমার ভৌমিক অভিযোগ করে জানান, সভাপতি তার কাছ থেকে জোড়পূর্বক স্কুলের রেজুলেশন খাতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন কাগজ এবং বিভিন্ন আলমিরা ও ড্রয়ারের তালার চাবি নিয়ে গেছেন।
ওই শিক্ষক সভাপতির নানান কাজের অসংগতির কারনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে গত ১৫ জুন পরিচালনা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা জরুরীসভা আহবান করেন। ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ও শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য স্কুলেই সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামকে সাময়িক ভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদান করেন।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানালেন, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সায়েদুর রহমান মোল্লা অযাচিত ভাবে শিক্ষকদের নানান ভাবে হয়রানি করছেন। তার খামখেয়ালী নানান অপকর্মের কারনে বিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশী শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে। শিক্ষকরা সাত মাস ধরে বিদ্যালয়ের অংশের বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। বেতননাদি না পেয়ে শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ সায়েদুর রহমানের মাদক মামলায় ১মাস ২দিন হাজত বাস করেছেন। অবশ্য বিষয়টি সভাপতি নিজে স্বিকার করেছেন।
এদিকে দৌলতপুরের জিয়নপুর ইউনিয়নের বাসাইল গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান বরাবরে সুর্নিদ্দিষ্ট কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা-২ মোঃ আফসার উদ্দিনের গত ১৯ মার্চের এক তদন্ত প্রতিবেদন ঘেটে দেখা গেছে,বিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা তসরুপ,দোকান,জমি ও পুকুর ইজারার টাকা স্কুলের ফান্ডে জমা না করে সরাসরি বিভিন্ন কাজে খরচ দেখানো হয়েছে। এক্ষেত্রে আর্থিক বিধিবিধান অনুসরন না করে অনিয়ম করা হয়েছে।এ ছাড়া ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে। যা ওই প্রতিবেদনে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি বলে জানা গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের তিনি দ্রুত বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।
এব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এমদাদুর রহমান জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অপর ৬ জন সদস্যের আনা অভিযোগের তদন্ত চলছে। খুব শিঘ্রই তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রেরন করা হবে।###

কালের কাগজ/প্রতিনিধি/জা.উ.ভি


এ জাতীয় আরো খবর
Tech Support By Nagorikit.Com