মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ১৮ মে -২০২০,রবিবার।
মানিকগঞ্জ হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ হোসেন ইমাম সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে তার ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন সদস্য নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা এনেছেন। এর আগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যরা নানা অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের দাবি করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগের কোন তদন্ত না হওয়াতে এবং উল্টো চেয়ারম্যান ও তার লোকজন দুইজন ইউপি সদস্যকে মারধর করেন। এই অবস্থায় চেয়ারম্যানের সাথে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করা সম্ভব নয় বিধায় সদস্যরা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
লেছড়ালঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা পত্র ও ইউপি সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৪ মে ইউপি সদস্যরা একটি বিশেষ সভা করেন। ওই সভায় ১২ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জন সদস্য উপস্থিত হন। ১১ জন ইউপি সদস্যরা হচ্ছেন ১নং ওয়ার্ডের মোঃ আব্দুস ছালাম, ২নং ওয়ার্ডের মোঃ সেকেন প্রামানিক, ৩ নং ওয়ার্ডের শেখ নিজাম, ৪নং ওয়ার্ডের মোতালেব খান, ৫ নং ওয়ার্ডের মোঃ শহীদ মোল্লা, ৬ নং ওয়ার্ডের শেখ আলাউদ্দিন, ৭ নং ওয়ার্ডের জাহিদ খান,৮ নংওয়ার্ডের মোসলেম উদ্দিন, ৯ নং ওয়ার্ডের মোঃ হালিম মোল্লা, সংরক্ষিত ১ ,২,৩ নং ওয়ার্ডের রমেশা বেগম ও সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের রাজিয়া আক্তার । ওই সভায় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ হোসেন ইমাম সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করেন সদস্যরা। সদস্যরা একমত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। সোমবার ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা পত্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।
অনাস্থা প্রস্তাবে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যেসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানে ইউনিয়ন পরিষদের চৌচালা টিনের ঘর চেয়ারম্যান তার নিজ বাড়িতে উত্তোলন করেছেন। এলজিএসপি বরাদ্দের সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে ঘাটলা তৈরী করেছেন। প্রতিবার জেলেদের কার্ডে চাল উত্তোলন করার সময় ২০টি ভুয়া নাম ব্যবহার করে ওই চাল আত্মসাত করেন। কাবিখার সাড়ে তিন মেট্রিকটন চালের মধ্যে ১৫০০ টাকা ব্যয় করে বাকী টাকা আত্মসাত করেছেন। সেই সাথে জেলা প্রশাসকের কাছে এর আগে অনিয়ম দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ইউপি সদস্য জাহিদ খান এবং শেখ নিজামকে মারধর করেছেন।
যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ হোসেন ইমাম সোনা মিয়া দাবি করেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের নিদের্শে তার সদস্যরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে অনাস্থা এনেছেন। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে তিনি জড়িত নন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, লেছড়াগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ জন সদস্যের আনিত লিখিত অনাস্থা প্রস্তাব সোমবার পাওয়া গেছে। এব্যাপারের হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হবে।