নিজস্ব প্রতিবেদক: ২২ জানুয়ারী,মঙ্গলবার ।
স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামী গোপাল মিয়াকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে আসামীর অনুপস্থিতিতে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় ঘোষনা করেন।
মানিকগঞ্জ শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি একেএম নূরুল হুদা রুবেল জানান, আসামী গোপাল মিয়ার সাথে মামলার বাদি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। এদের ঘরে চার কন্যা সন্তান জন্ম নেন। আসামী তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই মারধর করতো। বাদি বাধ্য হয়ে তার বাবা বাড়ির থেকে দুই লাখ টাকা এনে টেম্পু কেনার জন্য স্বামীকে দেয়। ২০১৩ সালে ১৯ মার্চ আসামী আবারও দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বাদিকে মারধর করে। এই ঘটনায় বাদি তার স্বামীকে আসামী করে আদালতে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৪ সালে ১১ জুন আসামী গোপাল মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। আদালতে মোট ৪ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়। আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১ ( গ) ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামী গোলাপ মিয়াকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।
কালের কাগজ/প্রতিবেদক/জা.উ.ভি