আব্দুল মোমিন, স্টাফ রিপোটার:১২ ফেরুয়ারী-২০২০,বুধবার।
লতিফ সিদ্দিকী ছিলেন বহু গুণের অধিকারী। তিনি প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষ ছিলেন। শত সীমাবদ্ধতা ও আঘাতেও তিনি আদর্শ থেকে বিচ্ছুত হননি। তিনি একাধারে সাংবাদিক, রাজনীতিক, নাট্যকার, কবি, গল্পকার ও শিশু সংগঠক। আজীবন নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের স্যাক মিলনায়তনে আয়োজিত লতিফ সিদ্দিকীর স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন। মানিকগঞ্জ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তাঁর স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, শিক্ষক, চিকিৎসক সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠকসহ তাঁর সহপাঠী, সহকর্মী ও রাজনৈতিক সহযোগীরা অংশ নেন।
স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব বিমল রায়ের স্মরণসভায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সভাপতি আজাহারুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবুল ইসলাম শিকদার, চিকিৎসক পঙ্কজ মজুমদার, খেলাঘরে জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মীর মোকছেদুল আলম, সিপিবির জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মজিবর রহমান, সমাজসেবক ইকবাল খান, প্রগতি লেখ সংঘের জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম এবং প্রথম আলোর মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল মোমিন।
গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ছিল লতিফ সিদ্দিকীর ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। লতিফ সিদ্দিকী প্রথম আলোর মফস্বল সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ভোরের কাগজ এবং সংবাদ পত্রিকায়ও কাজ করেছেন। এ পত্রিকায় ‘উলুখড়ের দিনলিপি’ শিরোনামে নিয়মিত কলাম লিখতেন। তিনি রোদ্দুর নামের একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। জনৈক হরিদাস পালের নিজের কথা তাঁর পাঠকসমাদৃত উপন্যাস। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সক্রিয় নেতা ছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। তিনি খেলাঘর সংগঠনেরও অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি।