মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: ২৯ এপ্রিল-২০২০,বুধবার।
মানিকগঞ্জে ১ স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ২জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তদের সংখ্যা হলো ১৭। আক্রান্তদের মধ্যে ১জনের বাড়ি ঘিওর উপজেলায় এবং অন্যজনের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলা শহরে। আজ (বুধবার) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান। তাকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলশনে রাখা হয়েছে। আজ (বুধবার) পরিবারের অপর ৬ জন সদস্যসহ হাসপাতালে কর্মরত তার সংস্পর্শে আসা সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হবে।
ইতিমধ্যে, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের সাতটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকা টিন পট্রিতে পূর্ব থেকে আক্রান্তের পরিবারের অপর একজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: লুৎফর রহমান বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা শহরে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের আরও ৩জন সদস্য এর আগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ওই পরিবারের ৪ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলেন।
তিনি জানান, ওই পরিবারের এক নারী প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়। তাঁকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেই সাথে, ওই পরিবার এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ১৩ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পর্যায়ক্রমে তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ওই ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ওই পরিবারের ৪ জন সদস্যের দেহে করোনা ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। আক্রান্ত ৪ জনের মধ্যে ১ জন ঢাকায় এবং অন্য ৩জন তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। তাদের সকলের শারীরীক অবস্থা ভালো বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের প্রতিদিন দুইবার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, ‘গত ২৪ ঘন্টায় ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় ২জনের পজিটিভ আসে এবং বাকীদের নেগেটিভ আসে। এ পর্যন্ত জেলায় ৬২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমন ধরা পরে।’
আক্রান্তদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭ জন, সিংগাইর উপজেলায় ৬জন, ঘিওর উপজেলায় ২ জন, শিবালয় উপজেলায় ১জন এবং সাটুরিয়া উপজেলায় ১জন। এদের মধ্যে ৩ জন চিকিৎসক, ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১১ মাসের ১জন শিশু আছেন।