মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ০১ এপ্রিল-২০২০,বুধবার।
করোনার সংক্রমন রোধে এবং মানুষকে ঘরে রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমা মোস্তারী,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি),থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রেজাউল করিম মানুষকে ঘরে ফেরাতে হ্যান্ড মাইক নিয়ে বাজারের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গিয়ে সচেতনতামূলক নির্দেশ দিচ্ছেন। করোনার সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গত বৃহস্পতিবার থেকে ১০ দিনের (২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। তখন থেকে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন করোনার সংক্রমণ রোধে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয়। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাইরে বের না হয় সে অনুরোধ জানানো হয়। এরই মধ্যে সাধারণ ছুটি বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম দিকে সাধারণ মানুষ সতর্কতার সঙ্গে প্রশাসনের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও দিন যত গেছে ততই তা ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। এখন পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, নিতান্ত প্রয়োজনে তো বটেই, যাচ্ছে তাই কারণেও মানুষ বেরিয়ে আসছেন ঘর থেকে। বিশেষ করে নি¤œআয়ের মানুষ বলছেন, পেটের প্রয়োজনে বের না হয়ে উপায় নেই। অতিদরিদ্ররা দলবেঁধে সাহায্যের আশায় বসে পড়ছেন মোড়ে মোড়ে। তারা বলছেন, ঘরে খাবার নেই বলেই পথে নামতে হয়েছে। নানান ছুতোয় রাস্তায় ভিড় করছেন তরুণরা। এমনকি ঘরে থাকতে থাকতে একঘেয়েমিতে ভুগছেন বলে কেউ কেউ গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। অনেকটাই ভেস্তে গেছে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বিষয়টি। বিশেষ করে গ্রামের সাপ্তাহিক হাটের সর্বত্র দেখা গেছে শত শত মানুষ। একারনে গ্রামাঞ্চলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে গেছে। মানুষকে ঘরে রাখতে পারাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের জন্য। মঙ্গলবার (১ লা এপ্রিল) বিকালে উপজেলা সদরের সাপ্তাহিক হাট বসলে হাটে প্রশাসনের লোক গিয়ে জনসাধারনকে সচেতন করেন এবং সকলকে ভীড় এড়িয়ে দ্রুত হাট ত্যাগের পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম দিন থেকে জনগনগনকে সচেতন করে ঘরে রাখার চেষ্টা করছি। প্রশাসনের পাশাপাশি জনগনগনকেও সহযোগিতা করতে হবে। তবেই এ দূর্যোগ কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
এখন উপজেলার সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। সাধারণ ছুটির প্রথম দুদিন নগরবাসী বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি। প্রথম দিকে প্রশাসন ও পুলিশ জনসাধারণকে ঘরে রাখতে অনেকটাই ছিল কঠোর। তদুপরি উপজেলা বাসীর সতর্কতাও ছিল টান টান। এদিকে বলপ্রয়োগের নীতি থেকে প্রশাসন সরে এসেছে বলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।